ময়দা দিয়ে পরোটা বানালে খেতে মজা লাগলেও তার একটি অসুবিধা হলো এটা বেশি সময় নরম থাকে না। শক্ত হয়ে যায়। যা পরবর্তিতে খেতে আর ভালো লাগে না। তবে কিছু কৌশল কাজে লাগিয়ে পরোটা বানালে তা হবে নরম তুলতুলে। চলুন তবে কৌশলগুলো জেনে নেওয়া যাক।
আটা ছাড়া ময়দা মাখানো বা ময়ান করার পদ্ধতিঃ
পরোটা নরম করার জন্য সর্বপ্রথম যে বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে হবে তা হলো ময়দা মাখানো বা ময়ান করা। কিছু পদ্ধতি বা কৌশল কাজে লাগিয়ে ময়দা মাখালে আপনার পরোটা হবে নরম তুলতুলে। ময়দা মাখার সময় ময়দার সাথে পরিমাণমতো নুন দিতে হবে। সেই সাথে গলানো ঘি।
ঘি দিলে যেমন একটা ঘ্রাণ চলে আসবে তেমনি পরোটাও হবে নরম। তবে ঘি ব্যবহারের সময় অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে ঘি বেশি গরম না থাকে। ঘি হালকা কুসুম গরম হতে হবে। আর একটি বিষয় হলো ঘি ও নুন দিয়েই সাথে সাথে জল দিয়ে দিবেন না। আগে ঘি ও নুনের সাথে ময়দা ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এই কাজটি চেষ্টা করবেন হাত দিয়ে ঘষে ঘষে করার জন্য। এরপর জল বা দুধ ব্যবহার করবেন।
দইয়ের ব্যবহারঃ
আপনি কি জানেন দই দিয়ে পরোটা বানালে তা হয় নরম তুলতুলে? না জেনে থাকলে আজই বাসায় একবার ট্রাই করে দেখুন। ময়দা মাখানোর সময় জলের পরিবর্তে তাজা তাজা দই ব্যবহার করুন। মিষ্টি দই বা টক দই হোক যেকোন দই ব্যবহার করতে পারেন। তবে চেষ্টা করবেন যেন দইটি তাজা হয়। দই দিয়ে মাখিয়ে পরোটা বানালে পরোটা যেমন নরম হবে তেমনি খেতেও এক ভিন্ন স্বাদ পাওয়া যাবে। দেখবেন সকলে আপনার বানানো পরোটার পাগল হয়ে যাবে। এবং বারবার আপনাকে এই পরোটা বানিয়ে দিতে হবে।
বেকিং সোডাঃ
পরোটা বানালে শক্ত হয়ে গেলে তা আর খেতে মজা লাগে না। তাই এই সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করতে পারেন বেকিং সোডা। বেকিং সোডা আপনার পরোটাকে নরম হতে সাহায্য করে। তাই পরোটার ময়দা মাখানোর সময় এতে এক চিমটে পরিমাণ বেকিং সোডা এড করে দিবেন। এরপর ময়দার সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে জল দিয়ে মাখিয়ে ডো করে নিবেন। তবে আবার ভুল করে বেশি দিয়ে দিতে যাবেন না। তাহলে কিন্তু সেই পরোটা আর খেতে পারবেন না। কেননা পরোটা তেতো হয়ে যাবে। আবার চাইলে কুসুম গরম জলে বেকিং সোডা মিশিয়ে নিয়ে তা দিয়ে ময়দা মেখে নিতে পারেন। তাহলে সোডা সর্ম্পূণ ময়দার সাথে ভালো করে মিশে যাবে।
হালকা গরম জল বা দুধঃ
পরোটা নরম তুলতুলে করতে চাইলে কখনোই ময়দা ঠান্ডা পানি দিয়ে মাখতে যাবেন না। ঠান্ডা পানি দিয়ে ময়দা মাখিয়ে পরোটা বানানোর পর সেই পরোটা শক্ত হয়ে যাবে। তাই চেষ্টা করবেন কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে। তবে সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি ময়দা মাখানোর জন্য কুসুম গরম দুধ ব্যবহার করেন। পানির তুলনায় দুধ দিয়ে বানানো পরোটা তুলনামূলক বেশি নরম হয়।
রেস্ট দেওয়াঃ
পরোটা বানানোর জন্য ময়দা মাখিয়ে ডো বানানোর সাথে সাথেই পরোটা বানাবেন না। ডো তৈরি করে কিছু সময় রেস্ট দিবেন। ডোতে কিছুটা তেল মাখিয়ে একটি ভেজা কাপড় বা কিচেন টাওয়েল দিয়ে মুড়িয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রেখে দিবেন। এরপর আবার কিছু সময় মেখে নিয়ে তারপর পরোটা বানাবেন। তাহলে পরোটা নরম হবে।
আটা ছাড়া নরম করে ডো বানানোঃ
পরোটা বানানোর জন্য যে ডো তৈরি করবেন তা কিছুটা নরম করে বানানোর চেষ্টা করবেন। বেশি শক্ত ডো হলে তা দিয়ে কিন্তু নরম রুটি বানানো যাবে না। তাই ডো হতে হবে নরম। আর এই কাজটি একটু সময় নিয়ে করতে হবে। কারন আপনি যতো ভালো ডো বানাতে পারবেন আপনার পরোটা ততো বেশি পারফেক্ট ও নরম হবে।
হালকা আঁচে ভাজাঃ
পরোটা বানানো হয়ে গেলে রেখে না দিয়ে সাথে সাথেই তা ভাজার জন্য তাওয়ায় দিয়ে দিতে হবে। এবং সেই সাথে ভাজতে হবে হালকা আঁচে। বেশি আঁচে ভাজলে যেমন পুড়ে যাওয়ার ভয় থাকে তেমনি পরোটাও শক্ত হয়ে যায়। তাই পরোটা হালকা আঁচে ভেজে নিবেন।
It is known to everyone from last 30 years.so no need to these type of advice.
Hey Ranjit, I’m glad that you are aware of it. But, this article is also meant for those who are new in the field of cooking or people staying in PGs’. Do let me know if you have some additional tips to add. I would love to learn them 🙂