পুরনো দিনের রান্নাবান্নায় আয়োজনের অতিরিক্ত বাহার ছিল না। কিন্তু ছিল স্বাদের অফুরন্ত ভাণ্ডার। তার কারণ খাঁটি সামান্য কিছু মসলার আর রন্ধনের জাদু। অনেক খাবার আছে যা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। আমি আমার সাধ্য মত সেগুলো বানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। এগুলো আমার নিজের রেসিপি নয়, এগুলো আমাদের সব বাঙালীর খাবার। আজ এমনি একটি অসম্ভব সুস্বাদু খাবার নিয়ে চলে এলাম তোমাদের সাথে ভাগ করে নিতে। ঘরে যদি পটল, আলু আর মুগ ডাল থাকে, তাহলে পুরনো দিনের এই চমৎকার খাবার বানিয়ে নিতে পারো। নাম হচ্ছে পটল বাহার। নামের মতই অপূর্ব খেতে এই পদ। খুবই সহজ ও সামান্য উপকরণ দিয়ে এটি বানানো। সত্যি বলতে এর স্বাদ মুগে লেগে থাকার মত। বিশেষত যারা একদম পটল খেতে পছন্দ করে না তারাও খুব আমেজের সাথে তৃপ্তি করে এটি খাবে।
রেসিপির ভিডিও শেষে দিয়ে দিলাম। লেখা পড়ে ও ভিডিও দেখে এটা বানাতে সুবিধা হবে।
উপকরণঃ
- পটল ৪ টি
- আলু ১ টি
- টমেটো ১ টি
- কাঁচা লঙ্কা ২ টি
- হলুদ ১ চামচ
- গরমমসলা ছোট ১ চামচ
- ঘি ১ চামচ
- সরষের তেল ৩-৪ চামচ
- গোটা জিরে ১/২ চামচ
- তেজপাতা ১ টা
- শুকনো লঙ্কা ১ টা
- লবণ স্বাদ মত
- গরম জল বড় দুই কাপ
পদ্ধতিঃ
পটলের অর্ধেক খোসা ছাড়িয়ে দুফালি করে কেটে নাও। আলু লম্বা লম্বা করে কেটে নেবে। আলুর সাইজ পটলের মত করে কাটতে হবে। ফলে একসাথে রান্না হবে সুন্দর ভাবে। মুগ ডাল ভালো করে ধুয়ে মিনিট ১৫ ভিজিয়ে রাখবে।
কড়াইয়ে তেল দিয়ে পটল আলু ভেজে তুলে নাও। এতে হলুদ লবণ কিছু দেবে না। হালকা লালচে করে ভেজে নিতে হবে।
এবার ওই তেলে গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা আর তেজপাতা ফোঁড়ন দাও। এবার এতে মুগ ডাল জল ঝরিয়ে দিয়ে দাও। কম আঁচে ডাল ভাজতে হবে যতক্ষণ না ডালে থাকা জল মজে যায়।
ডাল ভাজা হলে এতে ভাজা আলু ও পটল দিয়ে মিশিয়ে নাও। তারপর টমেটো কুচি আর কাঁচা লঙ্কা যোগ করে মিশিয়ে নাও।
হলুদ ও স্বাদ মত লবণ দিয়ে মিনিট ৩ নেড়েচেড়ে নাও। তারপর বড় দুই কাপ জল গরম করে এতে দিয়ে ঢেকে দাও। কম আঁচে ১৫ মিনিট রান্নার পর গরমমসলা ও ঘি দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। ডাল পুরো গলে যায় না যেন। একটু গোটা গোটা থাকবে। রেডি সিম্পল অথচ সুস্বাদু পটল বাহার।