শোভাবাজার রাজবাড়ির শোভা আজও বজায় রয়েছে বাঙালীর মনের অন্দরমহলে। তাই পুজোর সময় একবার হলেও ঘুরে আসা চাই এখানে। তাছাড়া রাজবাড়ির রান্নাবান্না নিয়েও মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। শোভাবাজার রাজবাড়ির হেঁশেল, শুধুমাত্র আমিষ খাবারেই সীমাবদ্ধ নয়। নিরামিষ খাবারগুলিও এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে পটলের রেসিপি। গ্রীষ্মের সবচেয়ে সাধারণ সবজিগুলির মধ্যে এটি একটি। এই পটল সম্পূর্ণ ভিন্ন মোড় নেয় যদি তিল দিয়ে বানান। রাজবাড়ির বিশেষ নিরামিষ পদ হচ্ছে তিল পটল। এটি বানিয়ে লুচি, পরোটা বা ভাতের সাথে পরিবেশন করতে পারেন। পটল যে খায় না সে একবার এটি মুখে দিলে তার মুখে পার্থক্যটি স্পষ্ট দেখতে পাবেন। প্রশংসার ঝড় উঠতে বাধ্য এই দাবদাহ গরমেও।
তিল পটল বানানোর উপকরণঃ
- পটল ৫০০ গ্রাম
- সাদা তিল ১৫০ গ্রাম পেস্ট
- হলুদ ১ চা চামচ
- চিনি ছোট ১/২ চামচ
- কাঁচা লঙ্কা পেস্ট ৩ চা চামচ
- সরষের তেল ৫-৬ চা চামচ
- নুন স্বাদ অনুযায়ী
- জল প্রয়োজন মত
বানানোর পদ্ধতিঃ
পটল ৫০০ গ্রাম পরিষ্কার করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। সম্পূর্ণ খোসা ছাড়াবেন না। পটলের সবজি বানাতে গিয়ে যেমনটা করেন ঠিক তেমনটা। খোসা ছাড়ানো হলে দুই প্রান্তের বোটার অংশ কেটে ফেলুন। আর কিছু করতে হবে না। গোটা থাকবে পটল। সাদা তিল ১৫০ গ্রাম ভালো করে বেটে রাখুন। কাঁচা লঙ্কা পেস্ট করুন ৩ চা চামচ মত। চার থেকে পাঁচটা লঙ্কা লাগবে। বাকি হলুদ, নুন, চিনি, তেল ও সামান্য জল পরিমাপ মত হাতের কাছের গুছিয়ে নিন।
কড়াইয়ে সরষের তেল ৫-৬ চা চামচ গরম করুন। গরম হলে এতে গোটা পটলগুলো দিয়ে দিন। গ্যাসের আঁচ মাঝারি রেখে মিনিট চারেক ভাজুন। তারপর এর মধ্যে হলুদ আর সামান্য নুন দিন। দেওয়া হলে আঁচ কমিয়ে হালকা বাদামী করে ভেজে নিন। এবার লঙ্কার পেস্ট ৩ চা চামচ যোগ করুন। মিশিয়ে নিন পটলের সাথে। তারপর এতে তিল বাটা যোগ করুন। ভালো করে কষান। তেল ছাড়তে শুরু করলে পটল সেদ্ধ হওয়ার মত জল দিন। এক কাপের চেয়ে একটু কম জল লাগবে। জল দিয়ে ঢেকে কম আঁচে রান্না করুন। পটল সেদ্ধ হয়ে এলে এতে স্বাদ অনুযায়ী নুন আর ১/২ চামচ চিনি দিন। গ্যাসের আঁচ বাড়িয়ে কষান। যতক্ষণ না জল মজে যাচ্ছে। একদম মাখা মাখা হবে। ব্যাস আর কিছু করতে হবে না। গরম গরম তিল পটল ভাত, রুটি এমনকি পরোটার সাথে পরিবেশন করুন।