গ্রীষ্মের মৌসুমে খাদ্যদ্রব্য ঠিকমতো সংরক্ষণ না করলে তা দ্রুত নষ্ট হতে শুরু করে। বিশেষ করে এই ঋতুতে দুগ্ধজাত সামগ্রী সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। দুধ, পনির, ঘি এবং দই হল এমন কিছু দুগ্ধজাত সামগ্রী যা গ্রীষ্মের মরসুমে সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে নষ্ট হয়ে যায়। এর মধ্যে দই হল এমন একটি উপাদান, যা দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় এবং টক হয়ে যায়। সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করা ছাড়াও দই টক হওয়ার অন্যান্য কারণও থাকতে পারে। আসুন, আজ আমরা আপনাদের বলব কিভাবে গ্রীষ্মের মৌসুমে দই টক হওয়া থেকে বাঁচাতে পারেন।
১. সঠিক পাত্রে দই সংরক্ষণ করুনঃ
দই যদি বাজার থেকে আসে তাহলে দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত টক হবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তবে, আপনি যদি বাড়িতে দই সেট করছেন, তবে আপনার এটি সঠিক উপায়ে সেট করা উচিত। আপনাকে প্রথমে যে জিনিসটি মনে রাখতে হবে তা হল দই সেট করার জন্য ফুল ক্রিম দুধ ব্যবহার করুন এবং যে দই ব্যবহার করতে যাচ্ছেন তা যেন টক না হয়। দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনি শুধুমাত্র মাটির বা সিরামিক পাত্রে দই সেট করুন। গ্রীষ্মকালে মাটির পাত্রে দই রাখলে তা ঠান্ডা থাকে এবং টক হয় না। দই সেট করতে, দুধ ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। এরপর এতে আধা চা চামচ দই দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর একটি মাটির পাত্রে চারদিকে দই মাখিয়ে তাতে গরম দুধ ঢেলে দিন। দুধ যোগ করার পর পাত্রটি থালা দিয়ে ঢেকে দিন।
২. দই সেট করার সঠিক সময়ঃ
সাধারণত মহিলারা সকালে দই সেট করার প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এবং সন্ধ্যায় একই দই পরিবেশন করে। তবে এই পদ্ধতি সঠিক নয়। এ কারণে দই ঘন হয় না। এছাড়াও দই পাতার জল, দই সেট করার উপযুক্ত সময় সন্ধ্যা ৫ থেকে ৬টা। গরমে দই দ্রুত শক্ত হয়ে যায়। আপনি যদি সন্ধ্যা ৬টায় দই সেট করার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেন, তাহলে রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে আপনি দই সেট করতে পারবেন। তবে অবিলম্বে এটি ব্যবহার করবেন না। দই ব্যবহার না করে ফ্রিজে রেখে দিন। সকালে আপনি খুব ঘন এবং মিষ্টি দই খেতে পাবেন।
৩. সঠিক জায়গায় সঞ্চয় করুনঃ
দই রাখার সবচেয়ে ভালো জায়গা হলো ফ্রিজ। তবে, আপনার দইকে সবসময় ফ্রিজেও পিছনের অংশে রাখা উচিত যাতে এটি সম্পূর্ণ ঠান্ডা হয়ে যায়। এছাড়াও দই সবসময় প্লেট দিয়ে ঢেকে রাখুন। আসলে, দই অন্যান্য খাবারের গন্ধ খুব দ্রুত শোষণ করে। এতে দই দ্রুত টক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, ফ্রিজের গেটের কাছে দই রাখবেন না। এটা করলে ঠাণ্ডা কম হবে, এতে দই টকও হয়ে যেতে পারে।