বাঙালীর কাছে ভাতের পড়ে যে খাবারটি বেশি প্রিয় তা হল বাসন্তী পোলাও। এটা বানাতে আপনারা নিশ্চয়ই জানেন। ট্রাডিশানাল যে পদ্ধতি তা সত্যি সময় সাপেক্ষ। তাই অনেক সময় সময়ের অভাবেবানানোর ইচ্ছে থাকলেও হয়ে ওঠে না। তবে আজ যে পদ্ধতি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি তাতে করে খুব কম সময়ে বেশি কষ্ট না করেও বাসন্তী পোলাও খাওয়ার স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন। আর যারা নতুন রাঁধুনি তাদের জন্য তো সোনায় সোহাগা। প্রথমবারের চেষ্টায় এটি বানিয়ে দশে দশ পেয়ে যাবেন পরিবারের কাছ থেকে। চলুন বকবক না করে ঝটপট রেসিপি দেখে নেওয়া যাক।
বাসন্তী পোলাও বানানোর উপকরণঃ
- বাসমতী চাল ২ কাপ
- কিশমিশ ১০টা
- লবঙ্গ ২টি
- এলাচ ২টি
- জল প্রয়োজন হিসাবে
- দারুচিনি হাফ কাঠি
- তেজপাতা ১
- কাজুবাদাম ১০টা
- ঘি বড় এক চা চামচ চা চামচ
- চিনি 2 চা চামচ
- হলুদ ফুড কালার ৪-৫ ড্রপ
প্রথম স্টেপঃ
প্রথমে বাড়িতে রাখা বাসমতী চাল জল দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। যতক্ষণ না চালের জল একদম স্বচ্ছ হচ্ছে ততক্ষণ ধোবেন। তারপর একটি পাত্রে জল নিয়ে তাতে বাসমতী চাল প্রায় ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এখানেই একটু সময় লাগবে। বাকি রান্নাতে কোন ঝামেলা আর বিশেষ করে কষ্ট করার প্রয়োজন পড়বে না।
দ্বিতীয় স্টেপঃ
এবার একটি প্যান নিন এবং তাতে ঘি গরম করুন। ঘি সামান্য গরম হয়ে এলে তাতে ২ মিনিটের জন্য কাজু কিশমিশ দিয়ে ভেজে নিন। গ্যাসের আঁচ কিন্তু কম রাখবেন। তারপর সেগুলো তুলে রেখে দিন একটি প্লেটে। এবার এই একই প্যানে একাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, লবঙ্গ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
তৃতীয় স্টেপঃ
এবার প্যানে ভিজিয়ে রাখা চাল দিন। চাল দেওয়ার পর জল নিন প্রয়োজন মত। আমি দুকাপ চালের জন্য ৪ কাপ জল ব্যবহার করি। যে কাপের মাপে চাল নেওয়া সেই একই কাপের মাপ অনুযায়ী। এতে করে চাল একদম ভালো করে সেদ্ধ ও ঝুরঝুরে হয়। যাই হোক এবার এতে চিনি দিয়ে দিন। স্বাদ অনুযায়ী নুন দিন। ঢাকা দিয়ে ৭৫% সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
চতুর্থ স্টেপঃ
চাল ৭৫% সেদ্ধ হয়ে এলে তাতে হলুদ ফুড কালার মিশিয়ে দিন। তারপর চাল ভালো করে সেদ্ধ হয়ে গেলে নামানোর আগে ভেজে রাখা কাজু, কিশমিশ ছড়িয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিন। উপর থেকে চাইলে ১/২ চামচ ঘি ছড়িয়ে ঢেকে রাখুন ৫ মিনিট মত। তৈরি হয়ে গেল বাসন্তী পোলাও।
বিশেষ টিপসঃ
বাড়িতে যদি ফুড কালার না থাকে হলুদ রঙের বা যদি ব্যবহার করতে না চান। তাহলে তেজপাতা, দারুচিনি এসব ভাজার সময় ১/২ চামচ হলুদ এতে মিশিয়ে দেবেন। তাহলেও রঙ চলে আসবে। আর ফুড কালার ব্যবহার না করে এটা করার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।