রান্না করা খাবার বানানোর সাথে সাথে খাওয়ার যেমন একটা মজা আছে তেমনই কিছু খাবার রয়েছে যা বাসি খেতে বেশি ভালো লাগে। যদিও আমরা সকলেই জানি যে খাবার তাজা খাওয়া হলে খাবারের স্বাদ সবচেয়ে ভালো হয় এবং তাজা খাবারে সবচেয়ে বেশি পুষ্টি থাকে, তবুও কিছু খাবার রয়েছে যা পরের দিন খাওয়া হলে আশ্চর্যজনক স্বাদ পাওয়া যায়। যদিও প্রকৃতপক্ষে খাবারের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি রয়েছে। তাদের মধ্যে কিছু খাবার ২-৩ দিনের জন্য ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
এগুলো এতই টেস্টি খাবার যে বাসি না খেলে মন ভরে না। আমার লিস্টে এই ৫ টি খাবার রয়েছে। দেখুন আপনাদের সাথে মিলছে কিনা। আর হ্যাঁ এর বাইরে আপনাদের কোন কোন খাবার বাসি খেতে ভালো লাগে অবশ্যই আমায় জানাবেন। আমিও ট্রাই করবো।
১. ইলিশের যেকোনো রান্নাঃ
গোটা বাঙালী জাতি আমার সাথে একমত হবেন যে ইলিশ মাছ রান্না করে বাসি খেতে সবচেয়ে ভালো লাগে। ভাজা থেকে শুরু করে বেগুন দিয়ে পাতলা ঝোল, ইলিশের যেকোনো পদ বানানোর পরের দিন স্বাদ ডবল করে দেয়। কচু শাক দিয়ে ইলিশের মাথা রান্না করে আজও আমার বাড়িতে দিনের দিন কেউ খায়নি। মা রাতে এটা বানান আর পরের দিন দুপুরে গরম গরম ভাতের সাথে এটা খাওয়ার অপেক্ষায় গোটা বাড়ি মুখিয়ে থাকি।
২. খিচুড়ি বিশেষ করে শীতের দিনেঃ
আমি খুব একটা খিচুড়ি খাওয়ার ভক্ত নই। তবে বাসি খিচুড়ি খেতে আমার নিজের খুব ভালো লাগে। একদিনের বাসি খিচুড়ি গরম করে তার উপর সামান্য ঘি গলিয়ে খাওয়ার অন্যই অনুভূতিই আলাদা। একবার হলেও খেয়ে দেখবেন এইভাবে। শীতকালে সকালে জলখাবারে আগের রাতের খিচুড়ি গরম করে খেতে দারুন লাগে। সাথে ডিমের অমলেট আর আলু ভাজা হলে জাস্ট জমে যায় খাওয়া দাওয়া।
৩. বিরিয়ানিঃ
বিরিয়ানি বানিয়ে এক বাটি রেখে দেবেন পরের দিনের জন্য। বিশ্বাস করুন স্বাদে আগের দিনের চেয়ে বেশি সুস্বাদু লাগে এটা। বাসি বিরিয়ানি খাওয়ার আলাদাই একটা মজা আছে। আমি ঘরে বিরিয়ানি যখনই বানাই তখনই এক বাটি রেখেদি পরের দিনের জন্য। কাঁচা পেঁয়াজ, লঙ্কা আর রায়তা দিয়ে এই বিরিয়ানির স্বাদ না খেলে বলে বোঝানো যাবে না।
৪. কষা মাংসের ঝালঃ
চিকেন কষা হোক বা মাটন কষা বানিয়ে সাথে সাথে খাওয়ার যেমন এক স্বাদ, তেমনি বাসি করে খাওয়ার আরেক স্বাদ। যেকোনো ননভেজ খাবার বাসি খেতে বেশি স্বাদ লাগে। মসলা মাংসের মধ্যে একদম ঠিক ভাবে মিলে যায়। এতে করে টেস্ট দ্বিগুণ হয়ে যায়।
৫. পায়েসঃ
জন্মদিন বা কোন বিশেষ অনুষ্ঠান উপলক্ষে বানানো পায়েস কিন্তু পরের দিন খেতে বেশি সুস্বাদু লাগে। চালের তৈরি পায়েস হোক বা সিমুই দুটোই বাসি খেতে বেশি ভালো লাগে। আমার জন্মদিনের আগের দিন রাতে মা তাই পায়েস বানান আজও। আমি খুব ভালোবাসি এই বাসি পায়েস খেতে।