গ্রীষ্মকালে যখনই রসালো ফলের কথা আসে, তখনই লিচুর চিন্তা আমাদের মাথায় আসে। লিচু শুধু স্বাদেই ভালো নয় শরীরের জন্য খুব ভালো। লিচুতে ফোলেট, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬ এর মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে এবং এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও রয়েছে। তবে বাজার থেকে লিচু কেনার সময় আপনাকে অনেক কিছুর যত্ন নিতে হবে যাতে আপনি নষ্ট বা রাসায়নিক ভাবে পাকা লিচু না কেনেন। খুব সিম্পল সিম্পল কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন। এড়িয়ে যাবেন না। এগুলো খেয়াল রাখলে লিচু কেনার সময় নিজেই এর প্রয়োজন বুঝতে পারবেন।
১. লিচুর আকার না দেখে কেনাঃ
বাজার থেকে লিচু কেনার সময় খেয়াল রাখবেন এর সাইজ যেন বেশি বড় না হয়। লিচু অনেক বড় হলে রাসায়নিকের সাহায্যে তা বড় করা হয়ে থাকতে পারে। এছাড়া লিচুর খোসা যেন ওপর থেকে সাদা বা বেশি বাদামি না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। দোকানদার ভালো লিচু বলে একগুচ্চ হাতে ধরিয়ে দিলেই নিয়ে নেবেন না। আগে ভালো করে দেখবেন এর আকার। বেশি বড় না আবার বেশি ছোট না। মাঝারি সাইজের লিচু কেনা সব সময় ভালো। এগুলো সঠিক মাত্রায় পুষ্ট হয়ে থাকে। আর রসালো ও মিষ্টি হয়। তাছাড়া যদি এমন লিচু কেনেন যার খোসা বাদামী বা সাদা রঙের হয়, তাহলে তা দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়, তাই এই ধরনের লিচু না কেনাই ভালো।
২. কাঁচা লিচু শনাক্ত না করাঃ
অনেকেই লিচু কেনার সময় সঠিকভাবে পরীক্ষা করে দেখেন না লিচু পেকেছে কিনা। যদিও আপনি কাঁচা লিচুও খেতে পারেন, তবে কাঁচা লিচু খেলে পেটে ব্যথা হতে পারে, তাই সবসময় পাকা ফল খান। পাকা লিচু শনাক্ত করতে হলে লিচুর উপরের অংশ অনুভব করতে হবে। যদি লিচু বাইরে থেকে খুব শক্ত হয়, তার মানে এটি একটি কাঁচা লিচু। আর লিচু পাকা হলে আলতো চাপ দিলেই নরম লাগবে। বুঝে নেবেন যে লিচু একদম ঠিকঠাক মত পেকে গিয়েছে। নিজের হাতে লিচু নিয়ে সবসময় চেক করে তবেই কিনবেন। নাহলে একগাদা পয়সা দিয়ে কাঁচা লিচু কিনে আনার কোন মানে হয় না। আজকাল যেহেতু রঙ মিশিয়ে কাঁচা লিচুকে অনেকেই পাকা হিসেবে চালিয়ে দেয়, তাই এই বিষয়ে সতর্ক থাকবেন সর্বদা।
৩. লিচুর খোসা ভালোভাবে না দেখাঃ
অনেক সময় লিচু ভিতর থেকে পচে গেলেও বাইরে থেকে সুন্দর দেখায়। এই বিষয়ে খেয়াল রাখুন। লিচুর খোসা ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখুন। লিচুর খোসা ভেঙে গেলে বা বেশি ভিজে গেলে লিচু পচে যেতে পারে, এমন লিচু খাবেন না। এর ভিতরে পোকা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এই ধরনের লিচু খেলেও পেটে ব্যথা হতে পারে। তাই লিচুর বোটার কাছের অংশ ভালো করে চেক করুন। যদি ভেজা ভেজা দেখেন জানবেন ওটি পচে গিয়েছে বা পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দ্রুত।