বাংলায় একটা প্রচলিত বাগধারা আছে ‘ডুমুরের ফুল’ যা আজকের রেসিপির সাথে হবহু মিলে যায়। ডুমুরের ভর্তার এই রেসিপি অনেকেরই অজানা। দুর্লভ বলতে ক্ষতি নেই। ডুমুর খাওয়া শরীরের জন্য উপকারি আমরা সবাই জানি। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ এটা খেতে পছন্দ করে না। কিন্তু আজকের রেসিপি সত্যি দুর্দান্ত লাগে বানিয়ে খেলে। ডুমুর খাচ্ছে বলে জানতেও পারবে না যদি কাউকে না বলে খাওয়ান। প্রশংসা করতে হবে যে এটা বানিয়েছে। এত টেস্টি খেতে যে এই একটা পদ দিয়ে ভাতের থালা খালি করে দেওয়া যেতে পারে নিমেষের মধ্যে। তাহলে চলুন কিভাবে ডুমুরের দুর্লভ ভর্তা বানাতে হবে তা জেনে নেওয়া যাক।
উপকরণঃ
- ডুমুর ২৫০ গ্রাম
- রসুন কোয়া ১০ টা
- বড় সাইজের একটা পেঁয়াজ কুচি
- কাঁচা লঙ্কা ৪ টে কুচি করা
- সরষের তেল ৫-৬ চা চামচ
- গোলমরিচ গুঁড়ো ১/৪ চামচ
- নুন স্বাদ অনুযায়ী
- জল প্রয়োজন মত
- গন্ধরাজ লেবুর খোসা ১/২ চামচ ঘষে নেওয়া
- ধনেপাতা কুচি ১/২ ছোট বাটি
ডুমুর ভর্তা বানানোর রন্ধন প্রণালীঃ
পরিষ্কার জলে ডুমুর ভালো করে ধুয়ে নিন। একটি বাটিতে জল রাখুন। ডুমুর টুকরো টুকরো করে কেটে নিন। এর মাঝখানের শক্ত বীজগুলো কেটে ফেলে দিন। প্রেশার কুকারে কাটা ডুমুর, রসুনের কোয়া আর সেদ্ধ করার মত জল দিয়ে এটা সেদ্ধ করে নিন।
ডুমুর সেদ্ধ হয়ে গেলে জল ঝরিয়ে নিয়ে শিল পাটায় বা মিক্সিতে বেটে নিন। একদম মিহি বাটা করবেন। কড়াই গ্যাসে বসিয়ে সরষের তেল গরম হতে দিন। তেল গরম হয়ে এলে এতে পেঁয়াজ কুচি আর কাঁচা লঙ্কা দিয়ে কম আঁচে কয়েক মিনিট ভাজুন। পেঁয়াজ হালকা বাদামী করে ভাজতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে এতে গোলমরিচ গুঁড়ো ১/৪ চামচ আর স্বাদ অনুযায়ী নুন দিয়ে কষান। তারপর বাটা ডুমুর যোগ করুন। দুই মিনিট রান্নার পর এতে গন্ধরাজ লেবুর খোসা ১/২ চামচ এতে দিন। মসলার সাথে ভালো করে কষিয়ে নিন যতক্ষণ না এতে থাকা জল মজে শুকিয়ে যাচ্ছে। নামানোর দুই তিন মিনিট আগে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে মিশিয়ে নিন। গরম গরম ভর্তা সাদা চালের ভাতের সাথে এই গরমকালে পরিবেশন করুন।