মসুর ডাল ভাত ভারতীয় খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ডাল ভাত প্রতিটি বাড়িতে রোজ তৈরি হয়। কিন্তু অনেক সময় এমন হয় যে সঠিক পরিমাণে জল যোগ করার পরও কখনো ডাল পাতলা হয়ে যায় আবার কখনো ঘন হয়ে যায়। ঘন ডাল পাতলা করা সহজ, কিন্তু পাতলা ডাল কীভাবে ঘন করা যায় তা একটি বড় প্রশ্ন। এমতাবস্থায় মানুষ মসুর ডালের জল ফেলে দেয়। অথচ এই মসুর ডালের জল খুবই পুষ্টিকর। আপনি এটি অনেক কিছুর জন্য ব্যবহার করতে পারেন। তাই আজ আমরা আপনাকে বলব যদি ডালে খুব বেশি জল থাকে তবে আপনি কীভাবে এটি অন্যান্য জিনিসে ব্যবহার করতে পারেন।
প্রতিটি ডালের রান্নার সময় এবং জলের পরিমাণ আলাদা, তবে বেশিরভাগ বাড়িতেই মুসুর ডাল তৈরি করা হয়। যার মধ্যে জলের পরিমাণ দ্বিগুণ হতে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি এক বাটি মসুর ডাল নিচ্ছেন তাহলে তাতে দুই বাটি জল মিশিয়ে নিন। এতে আপনার ডাল খুব বেশি পাতলাও হবে না আবার ঘনও হবে না। মসুর ডাল তৈরির আগে প্রথমে ২০ থেকে ২৫ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এতে করে ডাল দ্রুত সিদ্ধ হয় এবং এর স্বাদও হয় চমৎকার।
প্রথম উপায়ঃ
যদি আপনার ডাল পাতলা হয়ে যায়, তাহলে প্রথমে একটি চালুনির সাহায্যে ডালের বাড়তি জল বের করে নিন, কারণ গ্যাসে সব জল শুকাতে অনেক সময় লাগবে এবং নষ্ট হবে। বাকি ডালের জল আপনি নানাভাবে ব্যবহার করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি ময়দা মাখাতে এই জল ব্যবহার করুন। এতে নরম ময়দার ডো বানানো যায়। রুটি ও পরোটায়ও স্বাদ হওয়ার পাশাপাশি খুব নরম হয় সেগুলো।
দ্বিতীয় উপায়ঃ
এছাড়া মসুর ডালের জল ভাত তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। শুধু তাই নয়, এই মসুর ডালের জলও শিশুকে দিতে পারেন। এটি খুবই পুষ্টিকর। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। স্যুপে মসুর ডালের জলও ব্যবহার করতে পারেন। ডাল যা আপনি উদ্ভিজ্জ স্যুপ বা মুরগির স্যুপে যোগ করতে পারেন। এতে স্যুপের স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে যাবে। গ্রেভি সবজি তৈরির সময় ডালের অবশিষ্ট জল ব্যবহার করলে সবজির স্বাদ বাড়বে এবং এতে অনেক পুষ্টিগুণও আসবে।