স্বাদে ও স্বাস্থ্যে ভরপুর এই মসলাদার ক্যান্ডি, একবার খেলেই অভ্যস্ত হয়ে যাবে বাচ্চা থেকে বড় সকলেই। বাজার থেকে কিনে আপনি নিশ্চয়ই অনেকবার এই ক্যান্ডি খেয়েছেন। তবে খুব সহজেই এই ক্যান্ডি ঘরেই তৈরি করতে পারেন। আদা থেকে তৈরি হওয়ায় এই ক্যান্ডি স্বাদের পাশাপাশি আপনার হজম শক্তির জন্যও উপকারী। এগুলি সহজেই প্রচুর পরিমাণে তৈরি করা যায় এবং একটি এয়ার-টাইট পাত্রে সংরক্ষণ করা যায়। এটি শুধু স্বাদেই মিষ্টি নয়, ঔষধি গুণেও ভরপুর। এককথায়, চিনি এবং আদার রসের সংমিশ্রণে একটি কার্যকর এবং স্বাস্থ্যকর ক্যান্ডি তৈরি করে ঠান্ডা এবং ফ্লুর প্রতিকার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে এই ক্যান্ডি তৈরি হয় এবং এটি তৈরি করতে আপনার কী কী উপকরণ লাগবে।
ক. আদার ক্যান্ডি বানানোর উপকরণঃ
- আদা ১৫০ গ্রাম
- গুড় ৪০০ গ্রাম
- আধা চা চামচ কালো লবণ
- আধা চা চামচ হলুদ
- গোলমরিচ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
- আধা চা চামচ ঘি
খ. আদার ক্যান্ডি বানানোর পদ্ধতিঃ
প্রথমে ১৫০ গ্রাম আদা খোসা ছাড়িয়ে মোটামুটি টুকরো টুকরো করে কেটে নিন। একটি ব্লেন্ডারে আদা স্থানান্তর করুন এবং প্রয়োজনে জল যোগ করে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করতে পিষে নিন। একটি প্যানে আদার পেস্ট নিন এবং এক মিনিট রান্না করুন। ৪০০ গ্রাম গুড় যোগ করুন এবং ভালোভাবে নাড়ুন। গুড় সম্পূর্ণ গলে যাওয়া পর্যন্ত নাড়ুন। মিশ্রণটি ঘন হওয়া পর্যন্ত রান্না করতে থাকুন এবং মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন যাতে প্যানের গায়ে লেগে না ধরে। আপনি সিরাপটিকে জলে ফেলে এর সামঞ্জস্যতা পরীক্ষা করতে পারেন। যদি এটি একটি নরম বলের ধারাবাহিকতায় পরিণত হয় তাহলে একদম পারফেক্ট। তারপর এর মধ্যে আরও ১/২ চা চামচ কালো লবণ, ১/২ চা চামচ হলুদ, ১/২ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো এবং ১/২ চা চামচ ঘি যোগ করুন। ভালোভাবে মিশ্রিত করুন যাতে সবকিছু ভালোভাবে একত্রিত হয়।
তারপর বাটার পেপারে এক চা চামচ মিশ্রণটি ফেলে দিন গোলাকার করুন। এভাবে বাটার পেপারে বড়ি দেওয়ার মত করে এটা পুরোটা এক চামচ করে দিয়ে পেপার ভরে ফেলুন। একবার ঠাণ্ডা হলে, আঠা এড়াতে গুঁড়ো চিনি উপর থেকে সামান্য ছড়িয়ে দিন। সবশেষে, আদা ক্যান্ডি একটি বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করুন এবং এটি ৩ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করুন।
