মে মাসের গরমে শুধু ঘরের বাইরে বের হওয়াই কষ্টকর নয়, এসি ও কুলার ছাড়া ঘরের ভেতরে কাজ চালানোও কঠিন হয়ে পড়ছে। এমতাবস্থায় যাদের প্রতিদিন অনেক ঘণ্টা ঘরের রান্নাঘরে কাটাতে হয়, তাদের জন্য এই দিনগুলোতে রান্না করা কোনো শাস্তির চেয়ে কম নয়।
আর যদি রান্নাঘর ছোট হয় বা কম বাতাসযুক্ত হয় তবে এই কাজটি আরও কঠিন বলে মনে হয়। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক গরমে রান্নাঘর ঠাণ্ডা রাখার টিপস। গ্রীষ্মের এই সময় কীভাবে আমরা আমাদের রান্নাঘরকে গরম হওয়া থেকে বাঁচাতে পারি।
১. রান্নার সময় নির্ধারণ করুনঃ
সাধারণত দুপুরের রান্না বেলায় করতে শুরু করলে, গরমের হাত থেকে বাঁচার কোন উপায় নেই। কিন্তু এই গরমে সবচেয়ে ভালো হয় যদি সকালেই দুপুরের খাবার তৈরি করে ফেলেন। সকালে রান্না করলে খাবার সময় ঠাণ্ডা হয়ে যাবে তবে তা গরম করে নিলেই হবে। এতে করে দুপুরের সাংঘাতিক গরম থেকে রক্ষা পাবেন।
২. বায়ুচলাচল প্রয়োজনঃ
রান্নাঘর ঠাণ্ডা রাখতে হলে সেখানে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকা খুবই জরুরি। এর জন্য আপনি রান্নাঘরের জানালা খোলা রাখুন এবং এক্সজস্ট ফ্যান ব্যবহার করুন। এছাড়াও, আপনি আপনার রান্নাঘরে বৈদ্যুতিক ফায়ারপ্লেস ব্যবহার করতে পারেন। এই সবের সাহায্যে, রান্নাঘরের তাপ বের করা সহজ হবে এবং ঘর সতেজ থাকবে।
৩. প্রেসার কুকার ব্যবহার করুনঃ
প্রেসার কুকারে খাবার দ্রুত রান্না হয়। এমন পরিস্থিতিতে, আপনার যদি বিভিন্ন ধরণের প্রেসার কুকার থাকে তবে আপনি কম সময়ে নানা খাবার তৈরি করতে পারেন। এ কারণে রান্নাঘরও গরম খুব একটা হয় না।
৪. স্মার্ট রান্নার যন্ত্রপাতি ব্যবহার করুন
দ্রুত খাবার তৈরি করতে টোস্টার, গ্রিল, বৈদ্যুতিক কুকার ইত্যাদি ব্যবহার করে আপনি কম সময়ে আরও সহজে খাবার রান্না করতে পারেন। এগুলোতে রান্না করার সুবিধা হল টাইমার দিয়েই আপনি রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে একটু ফ্যানের হাওয়া খেয়ে আসতে পারেন। তাছাড়া গ্যাসে রান্না করার সাথে সাথে আঁচের গরম হাওয়া এতে পাবেন না। ফলে গরম অনেক অনেক কম লাগবে।
৫. ইন্ডাকশন ওভেন ব্যবহার করুনঃ
ইন্ডাকশন কুকটপ এবং বার্নার ব্যবহারের কারণে রান্নাঘর গরম হয় না। এমতাবস্থায় গ্যাসের চুলা না লাগিয়ে সেগুলো ব্যবহার করা উচিত। ইন্ডাকশন অ্যাপ্লায়েন্স থেকে কম তাপ নির্গত হয়, যার কারণে রান্নাঘর গরম হয় না এবং আপনি সহজেই রান্না করতে সক্ষম হন। তাছাড়া ইন্ডাকশন কুকিং এ রান্না করার সুবিধাও অনেক বেশি।
৬. ওভেন এড়িয়ে চলুনঃ
একটি চুলা ব্যবহার করার চেয়ে বেশি তাপ আছে। তাই গরমে রান্নার সময় ওভেন কম ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে সন্ধ্যায় বা সকালে এমন খাবার রান্না করুন যার জন্য আপনি চুলার প্রয়োজন অনুভব করেন।
৭. রান্নাঘরের আলো বন্ধ করুনঃ
রান্নাঘরে আলোও তাপ উৎপন্ন করে। তাই দিনের বেলা রান্না করার সময় রান্নাঘরের আলো বন্ধ রাখুন। দিনের বেলা রান্নার জন্য প্রাকৃতিক আলোই যথেষ্ট। ফালতু আলো জ্বালিয়ে রান্নাঘর গরম করার প্রয়োজন নেই। আর তাছাড়া ইলেকট্রিক বিল বাড়ানোর দরকার নেই।
