skip to content
CurryNaari
Welcome to Nandini’s world of cooking & more...

আলু মুচমুচে করে ভাজার জন্য এবার থেকে এইভাবে ভাজুন

আলু মুচমুচে করে ভাজা

বিকালের নাস্তায় একটি মুখরোচক খাবার হলো আলু ভাজা। আবার এটি তৈরি করাও অনেক সহজ এবং খুব দ্রুত তৈরি করে নেয়া যায়। কিন্তু অনেক সময় আলু ভাজলে তা মুচমুচে হয় না, আবার মুচমুচে হলেও বেশি সময় তা মুচমুচে থাকে না। আজ তাই এই সমস্যার সমাধান নিয়ে এসেছি আপনাদের জন্য। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক।

মুচমুচে আলু ভাজার কৌশলঃ

আলু আমরা সকলেই ভাজতে পারি ঠিকই কিন্তু মুচমুচে করে না। আলুকে মুচমুচে করে ভাজার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কৌশল বা ধাপ অবলম্বন করতে হয়। নিচে ধাপগুলো দেওয়া হলো-

ধাপ ১. সঠিক আলু নির্বাচন করাঃ

 

আলু

আলুকে ভাজার জন্য প্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হলো সঠিক আলু নির্বাচন করতে হবে। সব আলু কিন্তু এক জাতের হয় না, ভিন্ন ভিন্ন হয়। কিছু আলু আছে যাতে স্টার্চ বেশি থাকে, আবার কিছুতে স্টার্চ কম থাকে। যে আলুতে বেশি স্টার্চ থাকে তা ভাজলে বেশি খাস্তা বা মুচমুচে হয়। আর যেটাতে কম থাকে সেই আলু ভাজলে নেতিয়ে যায় বা নরম হয়ে যায়। তাই ভাজার জন্য সব সময় বেশি স্টার্চ থাকে যে আলুতে সেগুলো বাছাই করতে হবে।

ধাপ ২. লবণ জলে ভিজিয়ে রাখাঃ

 

আলু কাটা

আলুগুলো ভালো করে ধুয়েপরিষ্কার করে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এরপর একটি পাত্রে পরিমাণমতো জল দিয়ে তাতে কিছুটা লবণ মিশিয়ে নিতে হবে। কেটে রাখা আলুগুলো এই জলে দিয়ে কমপক্ষে ১ থেকে ২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। আবার কেউ চাইলে লবণ জল দিয়ে আলুগুলো ফুটিয়ে সিদ্ধ করে নিতে পারে। এরপর ঠান্ডা করে নিতে হবে।

ধাপ ৩. জল শুকিয়ে নেওয়াঃ

২ ঘন্টা পর জল থেকে আলুগুলো তুলে নিয়ে জল ঝরাতে হবে। একটি চালনি ব্যবহার করতে পারেন এই ক্ষেত্রে। আলুগুলো চালনিতে দিয়ে জল ঝরিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। আর সিদ্ধ করে থাকলে তা কেটে ঠান্ডা করে শুকাতে হবে।

ধাপ ৪. ময়দা মিশানোঃ

শুকিয়ে গেলে আলুগুলো একটি পাত্রে ঢেলে নিন। তার উপর দিয়ে ময়দা ছিটিয়ে দিন। ময়দা এমন ভাবে ছিটাতে হবে যাতে তা সবগু্লো আলুতে মাখতে পারে।

ধাপ ৫. দুধ ও ডিমের মিশ্রণ তৈরি করাঃ

ময়দা দিয়ে আলু মাখানো হয়ে গেলে একটি সাইডে রেখে দিন। অপর একটি পাত্র নিন। এবং তাতে একটি ডিম ভেঙে দিন এবং এর সাথে কিছু দুধ দিয়ে ভালো করে করে মিশিয়ে নিন। এরপর মেখে রাখা আলুগুলো মিশ্রণে ঢেলে দিয়ে মাখিয়ে নিন। তবে খেয়াল রাখবেন মিশ্রণটি যেন বেশি পাতলা হয়ে না যায়। শুধু মাখা মাখা একটি মিশ্রণ হবে।

ধাপ ৬. ডুবো তেলে ভাজাঃ

একটি প্যান বা কড়াই চুলায় বসিয়ে তাতে তেল ঢেলে দিন। তেল বেশি লাগবে কারন আলুগুলো ডুবো তেলে ভাজতে হবে। চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিন এবং তেল ভালো করে গরম করে নিন। যখন দেখবেন তেলের মধ্যে বুদবুদ করতে শুরু করছে ঐ সময় আলুগুলো ঢেলে দিতে হবে। তবে একবারে সব নয়। অল্প অল্প করে দিবেন আর হালকা করে ভেজে অন্য একটি পাত্রে নামিয়ে রাখুন। এভাবে করে সবগুলো ভেজে নিন।

ধাপ ৭. সময় নিয়ে ভাজাঃ

এরপর আবার তেল গরম করে নিন। অল্প অল্প করে ভেজে রাখা আলুগুলো দিয়ে দিন। তবে এবার একটু সময় নিয়ে ভালো করে ভেজে নিতে হবে। চুলার আঁচ এই সময় মিডিয়াম থাকবে। বাদামী রঙের করে ভেজে নিতে হবে। একটি পরিস্কার পাত্র নিন। এর উপর কিচেন টিস্যু বিছিয়ে দিন। আলুগেুলো ভেজে ভেজে ঐ পাত্রে তুলে নিন। এভাবে করে সবগুলো আলু ভেজে নিন।

ধাপ ৮. মসলা মাখানোঃ

সবগুলো আলু ভাজা হলে একটি বাটি নিন এবং এতে কিছু লবণ, ১/২ চা চামচ বিট লবণ, সামান্য পরিমাণ লাল মরিচের গুড়া নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ভেজে রাখা আলুর পাত্রে ঢেলে দিন। এরপর ঝাকিয়ে ঝাকিয়ে ভালো করে সব আলু ভাজার সাথে মসলাটি মিশিয়ে নিন। এরপর সস দিয়ে পরিবেশন করুন মুচমুচে আলু ভাজা।

আলু ভাজা

বিশেষ টিপসঃ

আপনি চাইলে এভাবে করে আলু সংরক্ষণও করতে পারেন। এর জন্য প্রথমবার হালকা করে ভাজার পর তা ঠান্ডা করে নিতে হবে। এরপর কোন এয়ারটাইট বক্স, জিপলক ব্যাগে করে রেখে ফ্রিজের ডিপে সংরক্ষণ করতে পারেন। এভাবে প্রায় ১ মাসের মতো সংরক্ষণ করা যাবে। একবার বেশি করে বানিয়ে রেখে দিন, তারপর যখন ইচ্ছে হবে ডিপ থেকে বের করে ডুবো তেলে ভেজে নিলেই হবে। তবে ভাজার কমপক্ষে ১/২ ঘন্টা আগে ডিপ থেকে বের করে রাখতে হবে। এবং ভাজার সময় তেল আগে ভালো করে গরম করে নিতে হবে।

Visual Stories

Article Categories:
Tips & Hacks

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

মুখরোচক ফ্রাইড রাইসের ৯ টি রেসিপি বাঙালীর ঐতিহ্যবাহী সকালের জলখাবার বাঙালির ১০ টি আচার যা জিভে জল আনে নিমেষে! মধ্যপ্রাচ্যে খুবই বিখ্যাত এই ৯ টি বাঙালির খাবার অযোধ্যার বিখ্যাত ঐতিহ্যবাহী ১০ টি খাবার!