চানাচুর পছন্দ করে না এমন মানুষ বোধহয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। কুড়মুড়ে স্বাদের এই খাবার বিকেলের জলখাবারে কেউ মুড়ির সাথে বা কেউ চায়ের সাথে খেয়ে থাকেন। বাজারের চানাচুরে প্রিজারভেটিভ থাকে। আবার তাতে মশলা বেশী থাকায় খেলে বুক জ্বালা বা পেটে সমস্যা দেখা দেয়। অনেকে রাস্তার পাশে চানাচুর মাখা খেয়ে থাকেন। ওতে রাস্তার ধুলোবালি ঢুকে পড়ে সহজে। তাই আপনাদের জন্য আজকে এনেছি ঝাল চানাচুর রেসিপি। একদম সঠিক রেসিপি দিয়ে ঘরে চানাচুর বানিয়ে খান, স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে। তো দেরি না করে চলুন দেখে নেই রেসিপিটি।
ঝাল চানাচুর রেসিপি
ঝাল চানাচুর বানাতে কি কি লাগবেঃ
- বেসন – আধা কিলো
- মুগ ডাল – আধা কাপ
- তড়কা ডাল – আধা কাপ
- মটর ডাল – আধা কাপ
- বুটের ডাল – আধা কাপ
- চিঁড়ে – আধা কাপ
- বাদাম – আধা কাপ
- তেল – আধা কাপ (ময়ানের জন্য)
- জল – আধা কাপ
- কালোজিরে – ১ চা চামচ
- হিং – ১ চা চামচ
- খাবার সোডা – আধা চা চামচ
- নুন – স্বাদমতো
- তেল – আধা কাপ (ময়ানের জন্য)
- তেল – দেড় লিটার (চানাচুর ভাজার জন্য)
- হলুদ গুঁড়ো – ১ চা চামচ
- লঙ্কা গুঁড়ো – ১ চা চামচ (ঝাল বেশী খেতে চাইলে বাড়াতে পারেন)
- চাট মশলা – ২ চা চামচ
- বিট নুন – ২ চা চামচ
- নুন – ১ চা চামচ (মশলার জন্য)
- ভাজা জিরে গুঁড়ো – আধা চা চামচ
কিভাবে তৈরি করবেনঃ
ডালগুলো ভালো করে ঝেড়ে ধুয়ে ২-৩ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপরে এগুলো ভালো করে শুকিয়ে আলাদা করে রাখুন। বেসন ভালো করে চেলে নিন। এরপরে একটি বড় বাটিতে বেসন, কালিজিরে, নুন, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, সোডা, হিং, ময়ানের জন্য রাখা তেল, এবং জল নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি খুব বেশী আঠালো হবে না আবার খুব বেশী নরম হবে না, মোটামুটি টাইট হতে হবে।
কড়াইতে চানাচুর ভাজার জন্য রাখা তেল গরম করে নিন। বেসনের মিশ্রণটি মোট ৩ ভাগ করুন। তেলের উপর চানাচুর ভাজার মোটা ডাইস নিয়ে তাতে এক ভাগ বেসনের গোলা হাত দিয়ে চেপে চেপে গরম তেলে ফেলুন। মোটা ডিজাইনের চানাচুরগুলো ভালো করে ভেজে কিচেন টাওয়েলের উপর বিছিয়ে রাখুন তেল শুষে নেয়ার জন্য।
এবারে দ্বিতীয় ভাগ বেসনের মিশ্রণে ৪ টেবিল চামচ জল মিশিয়ে একটু পাতলা করে নিন। তারপর চানাচুরের চিকন ডাইস নিয়ে মিশ্রণটি ফেলে ঝুরি ভাজা করে নিন। এরপরে বাকি মিশ্রণে আরেকটু জল দিয়ে পাতলা করে নিন। তারপর বুন্দিয়ার ডাইসে দিয়ে বুন্দিয়া ভেজে নিন। চানাচুর সব ভাজা হলে কিচেন টাওয়ালে তেল শুষে নিতে দিন। তেলে যাতে চানাচুরের কণা পড়ে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
ঐ তেলেই প্রথমে ডাল ও পরে বাদাম ভেজে নিন। এরপরে চিঁড়ে ভেজে নিন। চানাচুরের তেলে চিঁড়ে ভাজতে না চাইলে আলাদা কড়াইতে তেল গরম করে তারপর চিঁড়ে মচমচে করে ভেজে নিতে পারেন। সব ভাজা শেষ হলে ছাঁকনীতে বা কিচেন টাওয়েলে রেখে তেল কমিয়ে নেবেন।
এবারে মশলা মাখানোর পালা। বাকি যেসব মশলা আছে, অর্থাৎ বিট নুন, চাট মশলা, জিরে গুঁড়ো, নুন একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন। চাইলে হালকা একটু লঙ্কা গুঁড়োও দিতে পারেন যদি বেশী ঝাল খেতে চান। চানাচুর কিছুটা ঠান্ডা হয়ে আসলে হাতে করে মশলা চানাচুরে মাখিয়ে নিন। ব্যস তৈরি হয়ে গেলে জিভে জল আনা হোমমেইড ঝাল চানাচুর। ঠান্ডা হলে এয়ারটাইট কন্টেইনারে ভরে ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন। যেহেতু প্রিজারভেটিভ নাই তাই এই চানাচুর ২-৩ মাসের বেশী ভালো থাকবে না।