আজকাল সব কিছুই রেডিমেড পাওয়া যায়। কিন্তু তাতে কিছু একটা যেন মিস থাকে। বিশেষ করে আচার, কাসুন্দি, নানা রকমের মুখরোচক খাবার জিনিস রেডিমেড কিনে খেয়ে অনেকেরই মন ভরে না। ছোটবেলায় মামা বাড়িতে দিদার বানানো কাসুন্দি যেন আজও মুখে লেগে আছে অনেকের। দিদা তো নেই আজ আমার কিন্তু তাঁর রান্নার খসড়া রয়ে গিয়েছে। আর সেখান থেকেই আজ লিখতে চলেছি এই রেসিপি। ভালো লাগলে আপনারাও ট্রাই করে দেখতে পারেন। আমার দিদিমার স্টাইলে কাসুন্দি বানাতে চাইলে এই ভাবে বানিয়ে নিতে পারেন।
ক. দিদিমার স্টাইলে কাসুন্দি বানানোর উপকরণঃ
- কালো সরষে ১৫০ গ্রাম
- হলুদ সরষে ৮০ গ্রাম
- শুকনো লঙ্কা ৬টা
- ৪-৫টা তেজপাতা
- ৫-৬টা এলাচ
- ৫-৬টা লবঙ্গ
- ৩-৪টুকরো দারুচিনি
- ১/৪ চামচ গোলমরিচ
- গোটা জিরে ১ চামচ
- গোটা ধনে বড় ১ চামচ
- জোয়ান ১ চামচ
- পিপুল একটা (বড় মুদির দোকানে পেয়ে যাবেন)
- হলুদ এক চা চামচ
- নুন স্বাদ অনুযায়ী
- সাদা ভিনেগার ২ চা চামচ
- জল এক লিটার
খ. কাসুন্দি বানানোর পদ্ধতিঃ
কড়াই গরম করে তাতে শুকনো লঙ্কা ৬টা, ৪-৫টা তেজপাতা, ৫-৬টা এলাচ, ৫-৬টা লবঙ্গ ও ৩-৪টুকরো দারুচিনি দিয়ে মিডিয়াম আঁচে এক মিনিট ভাজুন। তারপর এক এক করে ১/৪ চামচ গোলমরিচ, গোটা জিরে ১ চামচ, গোটা ধনে বড় ১ চামচ, জোয়ান ১ চামচ ও একটা পিপুল যোগ করুন। আঁচ কমিয়ে ২-৩ মিনিট ভাজুন। ক্রমাগত নাড়তে থাকবেন যাতে মসলা পুড়ে না যায়। ২-৩ মিনিটের মধ্যেই সব মসলার সুন্দর গন্ধ বের হবে। এবার গ্যাস অফ করে এগুলো একটি প্লেটে ঢেলে ঠাণ্ডা করে নিন। আর গ্যাসে এক লিটার জল গরম করতে বসিয়ে দিন। জল ভালো করে ফুটে একটু কমে এলে বন্ধ করে ঠাণ্ডা করুন।
মসলা ঠাণ্ডা হলে মিক্সি জারে নিন। তারপর তাতে হলুদ এক চা চামচ ও এক চামচ নুন দিন। আর সাথে সাথে কালো সরষে ১৫০ গ্রাম ও হলুদ সরষে ৮০ গ্রাম মেশান। একদম মিহি করে গুঁড়ো করে নিন। চালুনি দিয়ে ছেঁকে কোন মসলা গোটা থাকলে আবার গুঁড়ো করুন। এবার গরম জলে একটা আঙুল ডোবানোর মত ঠাণ্ডা হয়েছে কিনা দেখুন। হলে সেটা একটি বাটিতে ঢেলে নিন। এবার অল্প অল্প করে জল নিয়ে মসলায় মেশাতে থাকুন। যতক্ষণ না কাসুন্দির ঘনত্ব সঠিক হচ্ছে ততক্ষণ জল মেশাবেন। হয়ে গেলে নুন চেক করে দেখুন। হয়তো সামান্য মেশাতে হবে। তারপর একদম শেষে ২ চা চামচ সাদা ভিনেগার এতে মিশিয়ে দেবেন। ভালো ভাবে ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়ার পর বোতলে ভরে ফিজে রাখুন।