লিচু, গ্রীষ্মকালীন ফল। যা বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলের খুব পছন্দের। গ্রীষ্মের দিনে এক গ্লাস ঠান্ডা লিচুর স্কোয়াশ পান করতে পারলে আলাদাই তৃপ্তি পাওয়া যায়। তাই আজ লিচুর স্কোয়াশ তৈরির এই সহজ রেসিপিটি শেয়ার করছি আপনাদের সাথে। লিচু স্কোয়াশ বানিয়ে একটি বোতলে সংরক্ষণ করুন আর সারা গরমকাল জুড়ে এর স্বাদ উপভোগ করুন।
লিচুর স্কোয়াশ বানাতে কি কি লাগবেঃ
- দানা ও খোসা ছাড়ানো ২০০ গ্রাম লিচু
- চিনি ১২৫ গ্রাম
- জল এক কাপ
- লেবুর রস বড় ১ চা চামচ
- লিচু এসেন্স ১/২ চামচ (অপ্সানাল)
লিচুর স্কোয়াশ কিভাবে বানাবেনঃ
প্রথমে খোসা ও দানা ছাড়ানো ২০০ গ্রাম লিচু ব্লেন্ড করে একটি চালুনি দিয়ে লিচুর রস ছেঁকে নিন। একটি প্যানে জল এবং চিনি এক সাথে দিয়ে ফোটান। চিনি দ্রবীভূত হওয়া পর্যন্ত কম আঁচে নাড়ুন। চিনি দ্রবীভূত হয়ে গেলে, লেবুর রস যোগ করুন ও একটা বলক আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর তাতে লিচুর রস মেশান। ২ মিনিট কম আঁচে ফোটান। তারপর লিচুর এসেন্স দিন। এটা ইচ্ছে না হলে দেবেন না। লিচুর এসেন্স যদি দেন তাহলে ১/২ চামচ দেবেন। তারপর এক মিনিট ফুটিয়ে গ্যাস অফ করবেন।
লিচুর স্কোয়াশ তৈরি হয়ে গিয়েছে। তবে গরম থাকা কালীন এতে আর নাড়াচাড়া করবেন না। পুরোপুরি ঠাণ্ডা হতে দিন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে পরিষ্কার কাঁচের বোতলে ভরে রাখুন। অবশ্যই ফ্রিজে রাখবেন। যখন খুশি লিচুর এই স্কোয়াশ দিয়ে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পানীয় বানিয়ে নিন।
লিচুর স্কোয়াশ দিয়ে ঠাণ্ডা পানীয় কিভাবে বানাবেনঃ
এটা বানানো লেবুর জল বানানোর চেয়েও খুব সহজ। একটি কাঁচের গ্লাস নিন তাতে ৩-৪ টে আইস কিউব্বা বরফ কুচি দিন। ঘরে বানানো এই লিচুর স্কোয়াশ ২ চা চামচ মত ঢালুন। বাকিটা ঠাণ্ডা জল দিন। ভালো করে মিশিয়ে নিন। ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লিচুর স্কোয়াশ এর পানীয় রেডি।
বিশেষ কথাঃ
উপরে যেভাবে লিচুর স্কোয়াশ বানানোর কথা লিখলাম তাতে বানানো স্কোয়াশ ১৫ দিন মত ব্যবহার করতে পারবেন। আর ১৫ দিনের মধ্যেই খেয়ে নেওয়া ভালো।
তবে একবারে যদি অনেকটা লিচুর স্কোয়াশ কেউ বানিয়ে দুমাস থেকে তিনমাস পর্যন্ত ব্যবহার করতে চান তাহলে সাইট্রিক অ্যাসিড মেশাবেন এতে সামান্য। যে পরিমাপে বানানোর কথা লিখেছি সেই অনুপাতে ১/৪ চামচ সাইট্রিক অ্যাসিড মেশাতে হবে। অর্থাৎ ২০০ গ্রাম লিচুর জন্য ১/৪ চামচ সাইট্রিক অ্যাসিড মেশাবেন এতে সামান্য। যে পরিমাপে বানানোর কথা লিখেছি সেই অনুপাতে ১/৪ চামচ সাইট্রিক অ্যাসিড লাগবে। মেশাতে বেশি বানাতে চাইলে এর মাথা সামান্য বাড়িয়ে দেবেন।