রথের মেলা বা যেকোনো অনুষ্ঠান উপলক্ষে হওয়া মেলায় দেখা যায় এই কাঠি গজা। মিষ্টির দোকানেও পাওয়া যায়। এক এক জায়গায় এক এক নামে পরিচিত এই গজা। কোথাও এর নাম মুরালি কোথাও বা মিষ্টি গজা। কেউ বলে খুরমা বা কেউ বলে কাঠি গজা। বাড়িতে এই মিষ্টি গজা বা কাঠি গজা বানানো যায় খুব সহজে। বাড়িতে একবার বানিয়ে ২-৩ মাস পর্যন্ত স্টোর করে রেখে দিয়ে খাওয়া যায়। কিভাবে এটা বানাতে হবে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
মেলার দোকানের মত কাঠি গজা বা খুরমা বানানোর উপকরণঃ
- ১ কাপ ময়দা
- ১/২ চামচ কালোজিরে
- ১/৪ চামচ বেকিং সোডা
- স্বাদ অনুযায়ী নুন
- ২ চা চামচ ঘি
- প্রয়োজন মত জল
- চিনি ১ কাপ
- ১/৩ কাপ জল
- সাদা তেল ভাজার জন্য (ডিপ ফ্রাই করার মত)
কাঠি গজা বা খুরমা বানানোর পদ্ধতিঃ
১. ময়দা মাখাঃ
একটি বড় বাটিতে এক কাপ ময়দা ঢালুন। তাতে ১/২ চামচ কালোজিরে, ১/৪ চামচ বেকিং সোডা আর স্বাদ অনুযায়ী নুন দিন। সমস্ত শুকনো উপকরণ একসাথে ভালো করে মিশিয়ে মাখুন। এবার এতে বড় ২ চা চামচ ঘি যোগ করুন। চাইলে সাদা তেলও ব্যবহার করতে পারেন। তবে ঘি দিলে অনেকদিন স্টোর করা যায়। আর এতে দারুন গন্ধ আসে গজাতে। এবার ভালো করে হাত দিয়ে মাখুন ২ মিনিট। হাতের মুঠোয় ধরলে বালির মত পড়ে গেলে বুঝবেন পারফেক্ট।

এবার অল্প অল্প জল দিয়ে ময়দা মেখে নিতে থাকুন। একবারে জল দিয়ে মাখবেন না। ময়দা মাখা খুব শক্ত হবে না আবার নরমও না। মাখা হয়ে গেলে ভেজা সুতির কাপড় দিয়ে এটা ঢেকে ১৫ মিনিট রাখুন। তারপর একটা একটা করে লেচি বের করে নিন এর থেকে। রুটির থেকে একটু মোটা করে বেলুন। তারপর ছুড়ি দিয়ে মাঝখান থেকে কাটুন। কাটা হলে দুটো ভাগ থেকে এবার সমান মাপে লম্বা লম্বা করে গজার আকারে কেটে নিন।
২. গজা ভাজাঃ
কড়াইয়ে একটু বেশি করে তেল ঢালুন। গরম করুন ভালো করে। তারপর আঁচ কমিয়ে এক মিনিট রেখে এক এক করে গজার টুকরোগুলো দিন। লাল করে ভাজবেন না। হালকা বাদামী করে ভাজুন। সবকটা গজা ভাজা হয়ে গেলে একটি প্লেটে রেখে ঠাণ্ডা করে নিন।
৩. গজা বানানোর শেষ ধাপঃ

এবার কড়াইয়ে এক কাপ চিনি দিন। তারপর ওই কাপের ১/৩ কাপ জল দিন। চিনি গলিয়ে নিন ভালো করে। চিনি গলে গেলে গজা এতে দিয়ে আঁচ বাড়িয়ে দিন। আসতে আসতে চিনির সিরার সাথে মেসাতে থাকুন ২ মিনিট। তারপর গ্যাস অফ করে রেখে দিন। একটু ঠাণ্ডা হলে খান কাঠি গজা বা মিষ্টি গজা।