গরমকালে গরমের জ্বালায় গরম গরম কিছুই ভালো লাগে না খেতে। ঠাণ্ডা জিনিসের দিকেই মন হাঁকুপাঁকু করে। আর ঠাণ্ডা জিনিসটি যদি কুলফি হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। কুলফি নানা রকমের নানা ভাবে আজকাল অনেকেই বানিয়ে থাকেন। আমি বেশি ঝামেলা নিতে রাজি নই এই গরমে। কিন্তু মালাই কুলফি খেতে চাই। এই মনে করে সেদিন দুটি মাত্র জিনিস দিয়ে কুলফি বানিয়েছিলাম। খাওয়ার পর নিজেই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আশা করিনি যে সত্যি এত ভালো হবে খেতে। তাই পড়িমরি করে তোমাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এলাম। একবার ট্রাই করে দেখো। খেয়ে আমায় থ্যাঙ্কস বলতেই হবে।
কুলফি বানানোর পদ্ধতির আগে বলে রাখি এই পরিমান দুধে বড় বড় ৫-৬টা কুলফি তৈরি হবে। আর এটা বানানোর জন্য কুলফির লম্বা ছাঁচ লাগবে। আর লাগবে ফয়েল পেপার ও আইসক্রিমের কাঠি। কাঠি না থাকলেও হবে। সেক্ষেত্রে বাটিতে নিয়ে কুলফি চামচ দিয়ে কেটে খেতে হবে। স্বাদের হেরফের হবে না, খাওয়ার মজা একটু কমবে এই যা।
ক. মালাই কুলফি বানানোর উপকরণঃ
- ঘন দুধ (টোনড মিল্ক) ১.৫ লিটার
- চিনি ৩ চা চামচ
খ. মালাই কুলফি বানানোর পদ্ধতিঃ
গ্যাসে পাত্র বসিয়ে তাতে ১.৫ লিটার দুধ ঢেলে দিন। আঁচ বাড়িয়ে দিন। দুধ ফুটতে শুরু করলে বা বলক এলে আঁচ কমিয়ে দুধ ফোটান। ক্রমাগত নাড়তে নাড়তে ১.৫ লিটার দুধ কমে ১/২ হয়ে এলে এতে চিনি ৩ চা চামচ যোগ করুন। ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। দুধ ফুটে ১/৩ হয়ে এলে গ্যাস বন্ধ করুন। এখন প্রশ্ন হল বুঝবেন কি করে? ফোটানো দুধ হলদেটে হয়ে সামান্য ঘন হয়ে যাবে। তারপর এটা সম্পূর্ণ ঠাণ্ডা করে নেবেন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে কুলফির ছাঁচে ঢেলে ফয়েল পেপার লাগিয়ে কভার দিয়ে দেবেন। তারপর ছুড়ি দিয়ে ফয়েল পেপার সামান্য কেটে নিয়ে কাঠি বসিয়ে দেবেন। ফ্রিজারে ৬ ঘণ্টা বা সারারাত রেখে দিন। মালাই কুলফি রেডি।
গ. বিশেষ টিপসঃ
- ঘরে কাজু কিসমিস বা পেস্তা থাকলে এতে দিতে পারেন। খেতে মজাদার লাগবে।
- ফ্রিজার থেকে বের করে জলে অর্ধেক ডুবিয়ে কয়েক সেকেন্ড রাখলে নিমেষে কুলফি বেরিয়ে আসবে।