রান্নাঘরে রোজ সবচেয়ে বেশি ব্যবহত উপকরণের নাম যদি করতে হয় তাহলে প্রথমেই যে নামটা আসবে তা হল চিনি। সকালের চা থেকে শুরু করে বাচ্চার দুধের গ্লাস, নানা রকমের রান্নায় এর ব্যবহার এমনকি ঘরে বানানো চাটনি থেকে মিষ্টি সবকিছুতে ব্যবহারে লাগে। চিনি ছাড়া তো আবার অনেকে রান্না করেন না রোজকার খাওয়ার। এক চিমটে হলেও ডাল থেকে ডালনা সবেতেই চিনি থাকে। যতই চিনির বদলে অন্য জিনিস আসুক না কেন চিনি সামান্য হলেও রান্নায় দরকার পড়ে।
এমন কিছু একটা চাই যাতে চিনি কম লাগে রোজকার ব্যবহারে। এক ঢিলে দুই পাখি মারার মত। এই ভাবনা থেকেই আজকের এই লেখা। এটা লেখার আগে আমি নিজে এটা পরীক্ষা করে দেখেছি। সত্যি চিনির ব্যবহার কম হয় কিন্তু স্বাদে মিষ্টতার ঘাটতি হয় না। আগে চায়ে যে পরিমান চিনি লাগতো তা অর্ধেকের চেয়েও কম লাগে এখন, কিন্তু মিষ্টি থাকে আগের মতই। কি জানতে খুবই উৎসুক মনে হচ্ছে আপনারা! তো চলুন জেনে নেওয়া যাক।
চিনির সাথে এটা মেশানঃ
শুনতে খুব অবাক আর অবাস্তব মনে হলেও এই একটি জিনিস চিনিতে মিশিয়ে রাখলে কম চিনি ব্যবহার করেও প্রয়োজন মত মিষ্টতার স্বাদ উপভোগ করা যায়। যেখানে আপনি চায়ে এক চামচ চিনি দিতেন সেখানে এক চামচের ১/৩ ভাগ দিলেই মিষ্টি লাগবে পুরো এক চামচের মত। এতে করে মাসের চিনির খরচ অনেক কমে যাবে।
চিনি যদি এক কিলো ব্যবহার করেন মাসে সেটা ৫০০ তে এসে দাঁড়াবে। তার জন্য যা করতে হবে সেটা হল চিনির সাথে লবণ মেশানো। এক কিলো চিনি আনলে তাতে মেপে এক চামচ লবণ মিশিয়ে নেবেন। যদি ৫০০ গ্রাম হয় তাহলে ১/২ চামচ লবণ। আর ২৫০ গ্রাম চিনি হলে তাতে ১/৩ চামচ লবণ। চায়ে নোনতা লাগবে না আগাম বলে দিলাম। লবণ চিনির মধ্যে গিয়ে দানার সাথে মিশে এর মিষ্টি ভাব বাড়িয়ে দেয়। সেই কারণে অল্প চিনি ব্যবহার করে প্রয়োজন মত মিষ্টতা পাওয়া যায়। এখনও যদি বিশ্বাস না হয় তাহলে করে দেখুন।
এখন আপনি Whatsapp Channel এ আমাদের অনুসরণ করতে পারেন ও সর্বশেষ লেখার সাথে আপডেট থাকতে পারেন।