skip to content
CurryNaari
Welcome to Nandini’s world of cooking & more...

ননস্টিক পাত্রে রান্না করার কিছু অসুবিধা যার সন্মুখিন অনেকেই হন

ননস্টিক প্যানে ডিম ভাজা

ননস্টিক পাত্র বা কুকওয়্যার শুধু কম তেলই ব্যবহার করে না, খুব সহজে পরিষ্কারও হয়। অনেক উন্নত ও সুবিধাজনক যন্ত্রপাতি ছাড়াও আধুনিক রান্নাঘরে রয়েছে আকর্ষণীয়, সুন্দর এবং জ্বালানি ও তেল সাশ্রয়ী পাত্র। প্রেশার কুকার, এয়ার ফ্রাইয়ার এবং ননস্টিক কুকওয়্যার হল এমন পাত্র যা বাড়ির রাঁধুনিদের সময় বাঁচানোর পাশাপাশি কম তেল ব্যবহার করে রান্না করতে সাহায্য করে। তাই, মানুষ তাদের ব্যবহার করতে পছন্দ করে। কিন্তু, এই পাত্রগুলির ব্যবহার আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে। আসুন জেনে নিই, ননস্টিক পাত্রে রান্নার অসুবিধাগুলো কী কী।

ক. ননস্টিক পাত্রে রান্নার অসুবিধাঃ

১. রান্না সঠিক ভাবে না হওয়াঃ

ননস্টিক পাত্রে রান্না করার সময় সবচেয়ে বেশি যে অসুবিধার সন্মুখিন হতে হয় তা হল পাত্রের তাপমাত্রার ব্যালেন্স করা। এই পাত্র দ্রুত গরম হয়ে যাওয়ার ফলে, বিশেষ করে মাঝখানের অংশ, সেখানে থাকা খাদ্যবস্তু জলদি সেদ্ধ হয়। বাকি খাবার সেই ভাবে হয় না। তাই এতে রান্না করতে হলে ক্রমাগত হাতা খুন্তি নাড়তে হয়।

২. খাবার পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশিঃ

লোহার কড়াই বা অন্য মেটিরিয়ালের পাত্রে রান্নার সময় বিশেষ করে ভাজাভুজি করার ক্ষেত্রে তা অনেক সুবিধাজনক। পুড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না গ্যাসের আঁচ কমানো থাকলে। কিন্তু ননস্টিক পাত্রে তা হয় না। আঁচ কমিয়ে ভাজতে গেলে তা ক্রিস্পি হয় না আবার মিডিয়াম করে ভাজলে পুড়ে যাওয়ার চান্স থাকে সামান্য অসতর্ক হলেই।

৩. হাতা-খুন্তির সমস্যাঃ

ননস্টিক পাত্রে রান্নার জন্য সব রকমের মেটিরিয়ালের হাতা-খুন্তি ব্যবহার করা যায় না। বিশেষ করে স্টিলের হাতা খুন্তি দিয়ে এতে রান্না করা যায় না। কাঠের হাতা খুন্তি বা ননস্টিকের হাতা খুন্তি লাগে। তাই ননস্টিক বাসন কিনলে সাথে সাথে সব রকমের হাতা খুন্তিও কিনতে হয়।

৪. পাত্রে খাবার লেগে ধরেঃ

অন্য বাসনের পরিবর্তে ননস্টিক পাত্রে রান্নার আরেকটা বড় সমস্যা হল খাবার লেগে ধরা। সঠিক মাত্রায় যদি রান্নার তেল না ব্যবহত হয় তাহলে খাবার অনেক সময় আটকে যায়। এই সমস্যা বিশেষ করে নতুন রাঁধুনিদের ফেস করতে হয়। পাত্রে খাবার লেগে গেলে তা পরিষ্কার করা আরও ঝামেলার। ননস্টিক কড়াই তাওয়া চকচকে করতে অনেক সময় লেগে যায়।

৫. পাত্রের মাঝখানের অংশে বিচ্ছিরি দাগ হয়ে যাওয়াঃ

রোজ যদি ননস্টিক পাত্রে রান্না করা হয় তাহলে খুব কম সময়ের মধ্যে এর মাঝের অংশ বিচ্ছিরি রঙের হয়ে যায়। কালচে হয়ে কেমন বেমানান দেখায় পাত্রটি। তাই এতে রোজ রান্নার বদলে মাঝে সাজে অনেকেই এতে রান্না করেন। কারন সকলের কাজে অনেক সেট থাকে না।

৬. এতে রান্না করার খাবারের কুপ্রভাবঃ

নন-স্টিক পাত্রে রান্না করলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি হয়, যার কারণে হাড় দুর্বল হতে পারে। নন-স্টিক পাত্রে উপস্থিত PFO থাইরয়েডের সম্ভাবনা বাড়ায়। উচ্চ ট্রাইগ্লিসারাইডের অবস্থা বৃদ্ধি পায়। যার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করে তোলে।

খ. ননস্টিক পাত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুনঃ

সর্বদা ব্যবহারের আগে ৫-১০ মিনিটের জন্য গরম জলে পাত্রগুলি রাখুন। তারপর, পাত্রগুলো ভালো করে পরিষ্কার করে ব্যবহার করুন। বাজার থেকে নন স্টিক পাত্রের জন্য স্পেশাল চামচ, হাতা খুন্তি কিনুন। শুধুমাত্র সেগুলি ব্যবহার করুন। কারণ, একটি সাধারণ হাতা খুন্তি দিয়ে টেফলনের আবরণ খোলামেলা খাবারে মিশে যায়। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। টিস্যু পেপার দিয়ে অবিলম্বে এই জাতীয় পাত্রগুলি মুছুন। একইভাবে, সবসময় প্লাস্টিক বা নরম স্পঞ্জ দিয়ে পরিষ্কার করুন। কখনই নন-স্টিক পাত্র ঘষবেন না। নন-স্টিক আবরণ দৃশ্যমান হলে, এই পাত্রগুলি ব্যবহার করা বন্ধ করুন।

Article Tags:
Article Categories:
Food-kitchen-insights

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *