বেগুন পোড়া বা বেগুন ভর্তা মানেই হচ্ছে বেগুনের ঝলসানো এক পদ। যা গরম ডাল ভাতের সাথে খেতে লাগে অমৃত। ছোটবেলার কথা ভাবলে বেগুন পোড়া নিয়ে একটা স্মৃতি সবসময় মনে পড়ে। মঙ্গল আর শনিবার করে আমাদের বাড়িতে বেগুন পোড়া বানানো একদম নিষিদ্ধ ছিল। কেন? প্রশ্নের উত্তর আজও জানা নেই। মাকে সেই সময় জিজ্ঞাসা করলে বলতেন ‘শনি মঙ্গলবার বেগুন পোড়া খেতে নেই’। এর বাইরে একটি কথাও এক্সটা ছিল না। এরকম আপনাদের সাথে কি ঘটেছে? ঘটলে জানাবেন। আর হ্যাঁ কেন খেতে নেই সেই উত্তর জানা থাকলে বলবেন।
যাই হোক বেগুন পোড়ানোর দিনক্ষণ নিয়ে সমস্যা থাকার পাশাপাশি এটা পোড়ানোর ঝামেলাও আছে। বিশেষ করে শহরে। গ্যাসের যা দাম তাতে একটা বেগুন পোড়াতে গেলে সত্যি বুকে ছেঁকা লাগে আজকাল। তাই বলে কি আমরা বেগুন ভর্তা খাবো না? আলবাত খাবো। আর সেই জন্যই আজকের রেসিপি।
বিশেষ করে যারা ব্যাচেলার, পরিবারের থেকে দূরে থাকে তাদের জন্য বেগুন পোড়ানোর ঝামেলা প্রচুর। ইন্ডাকশন ব্যবহার করেন তারা বেশি। তা বেগুন তো আর এতে পোড়ানো সম্ভব নয়। তাই বেগুন না পুড়িয়ে চমৎকার স্বাদের ভর্তা বানানোর রেসিপি নিয়ে চলে এলাম। কথা না বাড়িয়ে দেখে নেওয়া যাক সেই রেসিপি।
উপকরণঃ
- বেগুন ১ টা
- পেঁয়াজ কুচি এক কাপ
- শুকনো লঙ্কা ৩-৪ টে
- কাঁচা লঙ্কা কুচি ১-২ চামচ
- রসুন কোয়া ৪-৫ টা
- ধনেপাতা কুচি ৪-৫ চামচ
- সরষের তেল ১/৩ কাপ
- হলুদ ১/২ চামচ
- লাল লঙ্কার গুঁড়ো ১/৩ চামচ
- লবণ স্বাদ অনুযায়ী
পদ্ধতিঃ
বেগুন ভালো করে ধুয়ে গোল গোল চাকা চাকা করে কেটে নিন। এবার এতে হলুদ, লংকার গুঁড়ো আর লবণ মেশান। কড়াইয়ে তেল দিয়ে গরম করে নিন। তাতে শুকনো লঙ্কা ৩-৪ টে আর রসুন কোয়া ভেজে তুলে রাখুন। এবার ওই তেলে বেগুনের টুকরোগুলো ভালো করে ভেজে নিন। উভয় দিক ভাজা হয়ে গেলে গ্যাস বন্ধ করে ভাজা বেগুন একটি বড় পাত্রে তুলে রাখুন।
বেগুন একটু ঠাণ্ডা হলে এর সাইডের থেকে খোসা ছাড়িয়ে ফেলে দিন। শুকনো লঙ্কা আর রসুন ভাজায় সামান্য লবণ দিয়ে তা চটকে মেখে নিন। এবার এতে পেঁয়াজ কুচি আর লঙ্কা কুচি দিয়ে মাখুন। তারপর ভাজা বেগুন এর মধ্যে মিশিয়ে ভর্তার স্তাইলে মেখে নিন। লবণ চেক করে স্বাদ অনুযায়ী দিন। সবশেষে ধনেপাতা দেবেন। সামান্য সরষের তেল উপর থেকে ছড়িয়ে দিন। পোড়ানোর ঝামেলা ছাড়াই মজাদার বেগুন ভর্তা খাওয়ার জন্য প্রস্তুত।
Watch Video
Recommended For You
Visual Stories
Follow Us 🙂