আমরা যেকোনো ভাবে ব্যবহার করার আগে আদার খোসা ছাড়িয়ে ফেলি। এই খোসা ছাড়ানোর পর সোজা তা ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়। ভাবছেন খোসা তেতো এবং খাওয়া যাবে না, কিন্তু তা নয়। আদার খোসাও ভোজ্য এবং এটি দিয়ে অনেক কিছু করা যায়। তাছাড়া আদা এখন সস্তা নয়। দাম যথেষ্ট। তাই একে যত রকম ভাবে ব্যবহার করা যায় ততই ভালো। আজকে আপনাদের জন্য খুবই কাজের একটি লেখা নিয়ে এলাম। আদার খোসা না ফেলে রান্নাঘরের অনেক কাজে এগুলোকে ব্যবহার করতে পারেন। কি ভাবে বা কি উপায়ে তা স্টেপ বাই স্টেপ জেনে রাখুন।
আদার খোসা কিভাবে ব্যবহার করবেনঃ
আদা এমনই একটি ভেষজ, যা খাবারে প্রচুর ব্যবহার করা হয়। এর শক্তিশালী গন্ধ এবং স্বাদ আপনার খাবারের স্বাদ বাড়ায়। আদা চা শুধু মেজাজই উন্নত করে না বরং ক্লান্তি, মাথাব্যথা এবং ঠান্ডা দূর করতেও সাহায্য করে। যখনই আমরা আদা ব্যবহার করি, আমরা প্রথমে এটি খোসা ছাড়ি। কিন্তু কেন এমন? আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন কেন আমরা আদার ত্বক দূর করি? আপনি যদি মনে করেন যে আদার খোসায় তিক্ততা আছে, তা নয়।
আদার খোসাও ভোজ্য এবং আপনি খোসার সাথে আদা ব্যবহার করতে পারেন। এর চা থেকে পাউডার পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। এটি থেকে একটি মসলা তৈরি করুন এবং এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করুন, যাতে যখনই আপনার এটির প্রয়োজন হয়, আপনার কাছে আগে থেকেই আদা গুঁড়ো থাকে। এছাড়াও, আদার খোসা ফেলে দেওয়ার পরিবর্তে আপনি অনেক কিছু করতে পারেন। আসুন এই নিবন্ধে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে আদার খোসা ব্যবহার করা যায়।
১. রান্নাঘরের ফ্রেশনার তৈরি করুনঃ
ফ্রেশনার তৈরি করতে আদার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। বর্ষায় রান্নাঘরের সিঙ্কে দুর্গন্ধ হয়। এ জন্য সেই গন্ধ দূর করতে এই ফ্রেশনার উপকারী হতে পারে।
উপাদানঃ
- আদার খোসা ১ টেবিল চামচ
- লেবু ১ টেবিল চামচ
- জল ১ কাপ
- স্প্রে বোতল
কিভাবে তৈরী করবেনঃ
প্রথমে একটি প্যানে জল গরম করে তাতে আদার খোসা দিয়ে ২ মিনিট ফুটিয়ে নিন। জ্বাল বন্ধ করে তাতে লেবুর রস মিশিয়ে জল ঠান্ডা করুন। এটি ফিল্টার করুন এবং এটি একটি স্প্রে বোতলে স্থানান্তর করুন এবং এটি সিঙ্কের কাছে একটি ক্যাবিনেটে রাখুন। যখনই সিঙ্কের কাছাকাছি থেকে গন্ধ আসতে শুরু করে, তখন এটি সিঙ্কের পাইপের চারপাশে বা এমনকি সাধারণভাবে স্প্রে করুন এবং এর সুগন্ধ রান্নাঘরের গন্ধকে সুন্দর করে তুলবে।
২. আদা পাউডার তৈরি করুনঃ
আদার গুঁড়ো খাবারে ব্যবহার করা হয়। আদার খোসা থেকে পাউডার তৈরি করে সংরক্ষণ করুন এবং যখন খুশি ব্যবহার করুন। একেবারে আদার গুঁড়ো বা পাউডারের মতই গন্ধ এই খোসার।
উপাদানঃ
- আদার খোসা ১/২ কাপ
- কালো লবণ স্বাদ অনুযায়ী
- গোলমরিচ স্বাদ অনুযায়ী
কিভাবে তৈরী করবেনঃ
প্রথমে আদার খোসা ধুয়ে শুকিয়ে নিন। এর পর ওভেনে ১ মিনিট বেক করুন। এটি চাটুতে শুকনো ভাজাও হতে পারে। এবার একটি ব্লেন্ডারে লবণ, খোসা এবং গোলমরিচ দিয়ে পিষে নিন। খুব সূক্ষ্মভাবে পিষে একটি পাত্রে সংরক্ষণ করুন। আপনি এটি চাট বা যেকোনো জলখাবারে যোগ করে উপভোগ করতে পারেন। এটি আপনার পরিপাকতন্ত্রকেও সুস্থ রাখবে।
আদার খোসার পাউডার বানিয়ে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় মধুর সঙ্গে খেলে দারুন কাজ দেয়। শুধু তাই নয়, সার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।
৩. আদার খোসা ডিটক্স ওয়াটারঃ
ডিটক্স ওয়াটার বলুন বা চা, আদার খোসা দুইভাবেই ব্যবহার করতে পারেন। খোসাও আদার মতোই কাজ করবে।
উপাদানঃ
আদার খোসা ১ টেবিল চামচ
চা পাতা ১/৪ চা চামচ
জল ২ কাপ
লেবুর রস ১ চা চামচ
কিভাবে তৈরী করবেনঃ
একটি প্যানে বা পাত্রে জল গরম করে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে রাখুন। এতে চা পাতা যোগ করুন এবং ২ মিনিট গরম করুন এবং তারপর আদার খোসা যোগ করুন। গ্যাস বন্ধ করে ফিল্টার করে কাপে নিয়ে লেবুর রস বের করে উপভোগ করুন।
আমরা আশা করি এই তথ্যটি আপনার কাজে লাগবে যদি আদার খোসাও ব্যবহার করতে চান। আপনি যদি এই নিবন্ধটি পছন্দ করেন, তাহলে লাইক এবং শেয়ার করুন। এরকম আরো লেখা পড়তে, currynaari.com এর সাথে যুক্ত থাকুন।
Visual Stories
