skip to content
CurryNaari
Welcome to Nandini’s world of cooking & more...

স্বাস্থ্য মন্ত্রক গরমে ঠাণ্ডা থাকতে খাদ্য নির্দেশিকা দিয়েছেন যা জানা উচিত!

স্বাস্থ্য মন্ত্রক গরমে ঠাণ্ডা থাকতে খাদ্য নির্দেশিকা

গত কয়েকদিন ধরে সারাদেশে তাপ ও ​​তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে যাওয়ায় মানুষের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কিছু নির্দেশনা জারি করেছে। ভারতের অনেক রাজ্যে গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরম। বর্তমানে কিছু শহর ও রাজ্যে গ্রীষ্মের তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রির উপরে। তীব্র সূর্যালোক এবং তাপ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

এতে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। প্রায়শই মে ও জুন মাসে মানুষকে হিট স্ট্রোক থেকে খাদ্যে বিষক্রিয়ার মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাপ ও ​​রোদ থেকে বাঁচতে জনগণকে সুরক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সাথে সাথে গরমে ঠাণ্ডা থাকতে খাদ্য নির্দেশিকা জারি করছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কী পরামর্শ দিয়েছে?

প্রচণ্ড রোদ ও তাপ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে জনগণকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কিছু নির্দেশিকা পালন করার কথা বলেছেন। এর সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রক তাপ প্রতিরোধে ‘বিট দ্য হিট’ টিপস শেয়ার করেছে। এছাড়া হিট স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রক খাদ্য নির্দেশিকা

প্রবল সূর্যালোক এবং তাপের কারণে আপনার এই সমস্যাগুলি হতে পারে, যা আপনার উপেক্ষা করা উচিত নয়, সেই সাথে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। বমি বমি ভাব, তৃষ্ণা, প্রস্রাব কমে যাওয়া, দ্রুত হৃদস্পন্দন, মাথাব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণগুলি আপনাকে বলে দিতে পারে যে আপনি হিট স্ট্রোকে ভুগছেন। এটি প্রতিরোধ করতে, স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকাগুলি ভাগ করেছে।

১. রান্নার জায়গাটি বায়ুচলাচল করুনঃ

স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে রান্নাঘরে সঠিক বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং সম্ভব হলে রান্নার সময় রান্নাঘরের জানালা-দরজা খোলা রাখতে হবে। দুপুরের যে সময় সবচেয়ে বেশি গরম থাকে তখন রান্নাঘরে কাজ করা এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।

২. শক্তিশালী সূর্যালোকের অধীনে রান্না করা এড়িয়ে চলুনঃ

গ্রীষ্মের মরসুমে, বেলা ১১টার পরে, সূর্য খুব প্রবল, তাই এই সময়ে রান্নাঘরে রান্না করা এড়িয়ে চলুন। দুপুরের তাপ ও ​​জ্বালাপোড়ার কারণে রান্নাঘরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে, তাই গরম এড়াতে দুপুরে খাবার রান্না না করতে বলেছে মন্ত্রণালয়।

৩. উচ্চ প্রোটিন খাওয়া এড়িয়ে চলুনঃ

আপাতত, প্রখর সূর্যালোক এবং বর্ধিত তাপমাত্রার মধ্যে উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। অনেক জিমে যাওয়া ফিটনেস ফ্রিক লোকেরা উচ্চ প্রোটিন জাতীয় খাবার গ্রহণ করে যেমন- ডিম, মাংস, মাছ ইত্যাদি। এই মুহূর্তে এগুলো আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়, তাই এড়িয়ে চলুন।

৪. বাসি খাবার খাবেন নাঃ

গরমে খাবার খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় বা বাসি হয়ে যায়, তাই এসব খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন, সুস্থ থাকতে বাসি খাবার এড়িয়ে চলুন। মানুষ রাতের উচ্ছিষ্ট খাবার ফ্রিজে রাখে এবং সকালে নাস্তা হিসাবে খায়, আপাতত তা করবেন না।

৫. চা কফি এবং কোল্ড ড্রিঙ্কস খাবেন নাঃ

প্রখর রোদ ও গরমের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রক মানুষকে কোমল পানীয়, কফি ও চায়ের মতো পানীয় থেকে দূরে থাকতে বলেছে। গ্রীষ্মে এটি ক্রমাগত এবং অতিরিক্ত সেবনের কারণে আপনার ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হতে পারে।

৬. লবণযুক্ত পানীয়ঃ

যখন মানুষের শরীরের কথা আসে, তখন লবণ এবং চিনির ভারসাম্য প্রয়োজন। ঘামের কারণে লবণের ক্ষতি ঢাকতে মন্ত্রক লেবু জল, বাটার মিল্ক, লস্যি এবং ফলের রসের মতো পানীয় খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। চরম ডিহাইড্রেশন পরিচালনা করার জন্য আর্দ্র দিনের জন্য ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন (ORS) হাতের কাছে রাখারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া হাইড্রেটেড থাকুন বন্ধুরা। দিনে কম পক্ষে ১০-১২ গ্লাস জল পান করুন।

৭. তাজা ফল খানঃ

গ্রীষ্মের সময়, কমলা, তরমুজ, লেবু, আম এবং শসা সহ উচ্চ জলের উপাদানযুক্ত ফল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Visual Stories

Article Categories:
Lifestyle

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

মুখরোচক ফ্রাইড রাইসের ৯ টি রেসিপি বাঙালীর ঐতিহ্যবাহী সকালের জলখাবার বাঙালির ১০ টি আচার যা জিভে জল আনে নিমেষে! মধ্যপ্রাচ্যে খুবই বিখ্যাত এই ৯ টি বাঙালির খাবার অযোধ্যার বিখ্যাত ঐতিহ্যবাহী ১০ টি খাবার!