অনেক ধরনের সুস্বাদু আচার যেমন লাল লঙ্কার আচার, রসুনের আচার, কাঁঠালের আচার, মিক্স সবজির আচার, লেবুর আচার এবং আমের আচার আমাদের খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ করে। বাজারে এই সব আচার সহজে পাওয়া গেলেও, প্যাকেটজাত আচারে, ঘরে তৈরি আচারের স্বাদ পাওয়া যায় না। রসুনের আচার সবারই প্রিয়। আজ আমরা আপনাদের শিখাবো কিভাবে রসুনের আচার তৈরি করতে হয়। সপ্তাহ ধরে রোদে না দিয়ে মাত্র এক ঘণ্টায় বানানো যায় এটা।
রসুনের আচারের রেসিপি খুবই সহজ। আপনি সহজেই এটি বাড়িতে তৈরি করতে পারেন। রসুনের আচার কয়েকদিন সংরক্ষণ করতে পারেন। রসুনের আচার যত পুরোনো হবে ততই সুস্বাদু হবে। বাড়িতে আচার বানানোর এটাই উপযুক্ত সময়। তো চলুন শিখে নেওয়া যাক কীভাবে তৈরি করবেন রসুনের আচার।
উপকরণঃ
- রসুনের কোয়া ১/২ কেজি
- সরিষার তেল ১/২ লিটার
- শুকনো আস্ত লাল লঙ্কা ১২টি
- লাল লঙ্কার গুঁড়ো ৩ টেবিল চামচ
- হলুদ গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ
- কারি পাতা ১/২ বাটি
- মৌরি ৩ টেবিল চামচ
- হলুদ সরিষা ৩ টেবিল চামচ
- মেথি বীজ ১ টেবিল চামচ
- জিরা ১/২ টেবিল চামচ
- সেলারি ১/২ টেবিল চামচ
- সরিষা ১ টেবিল চামচ
- হিং ১/২ টেবিল চামচ
- লবণ স্বাদ অনুযায়ী
রসুনের আচার কীভাবে তৈরি করবেনঃ
প্রথমে রসুনের কুঁচিগুলো আলাদা করে হালকা ভাবে পিষে খোসা ছাড়িয়ে নিন। তারপর এই রসুনের কোয়াতে এক টেবিল চামচ তেল দিয়ে হালকা ভাবে ম্যাশ করে এক ঘণ্টা রোদে রাখুন। এক ঘণ্টা পর সেই রসুনের খোসা ছাড়িয়ে হাত দিয়ে মাখিয়ে নিন, এতে করে রসুনের খোসাগুলো সহজেই আলাদা হয়ে যাবে। এবার মিক্সারে শুকনো আস্ত লাল লঙ্কা, সরিষা, মৌরি, জিরা, সেলারি এবং মেথি দিয়ে মোটা করে পিষে নিন।
গ্যাসের মৃদু আঁচে একটি প্যান বসিয়ে তাতে সরিষার তেল দিয়ে গরম হতে দিন। তেল ভালোভাবে গরম হয়ে এলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। তিন মিনিট পর এই তেলে স্বাদ অনুযায়ী লবণ ও হিং গুঁড়ো দিন। এবার রসুনের কুঁচি, গোটা শুকনো লাল লঙ্কা, শুকনো কারি পাতা দিয়ে ভালো করে মেশান। এবার এতে মৌরি, জিরা, সেলারি, সরিষা, লাল লঙ্কার গুঁড়ো, হলুদের গুঁড়ো, মোটা মেথি এবং হলুদ সরিষা, মৌরির বানানো গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মেশান। আপনি আপনার স্বাদ অনুযায়ী মসলা ব্যবহার করতে পারেন।
রসুনের আচার সম্পূর্ণ ঠাণ্ডা হলে কাচের পাত্রে সুতির কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন। প্রতিদিন একবার চামচের সাহায্যে মিশিয়ে নিন। মনে রাখবেন আচারে হাত দেবেন না, বিশেষ করে ভেজা হাত ব্যবহার করবেন না। শুধুমাত্র চামচের সাহায্যে নাড়ুন। আচার স্পর্শ করলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।