চাট মসলা আজকাল সবার রান্না ঘরেই বোতল বন্দি পাওয়া যায়। মজাদার স্ন্যাক্স হোক বা ঠাণ্ডা পানীয় সব কিছুতেই কম বেশি ব্যবহার করা হয়। বাজার থেকে চাট মসলা কিনে আনলে একটা সমস্যা দেখা দেয় যে, হাওয়া ঢুকে গেলে দলা পাকিয়ে যায়। আর তাছাড়া একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এটি ভালো থাকে। তারপর টেস্ট কমতে থাকে। বাড়িতে বানানো চাট মসলার এসব কোন সমস্যা নেই। একবার বানিয়ে বোতল বন্দি করে ছয় মাস পর্যন্ত খেতে পারেন। ফ্লেবার হোক বা টেস্ট একই থাকবে।
ঘরে চাট মসলা বানানোর উপকরণঃ
ঘরে চাট মসলা বানাতে খুব সামান্য কয়েকটি জিনিস বা উপকরণ আপনাদের লাগবে।
- জিরে ১/৪ কাপ
- গোটা ধনে ২ চা চামচ
- শুকনো আদা ২ ইঞ্চি
- শুকনো লঙ্কা একটা
- গোটা গোলমরিচ ২ চামচ
- লবঙ্গ ৭-৮ পিস
- পুদিনা পাতা ৩ চা চামচ
- আমচুর পাউডার ১/৪ কাপ
- হিং ১/২ চামচ
- নুন ১ চামচ
ঘরে চাট মসলা কি ভাবে বানাবেনঃ
ঘরে চাট মসলা বানানো সত্যি খুব সহজ একটি ব্যপার। স্টেপ বাই স্টেপ যে ভাবে লিখছি ঠিক সেভাবে বানাবেন। একবারেই সব রোস্ট করবেন না। তাতে স্বাদের হেরফের হয়।
প্রথম ধাপে উপকরণ রোস্ট করাঃ
চাটুতে ১/৪ কাপ জিরে আর ২ চা চামচ গোটা ধনে কম আঁচে রোস্ট করুন। যতক্ষণ না এর থেকে সুন্দর অ্যারমা বা গন্ধ বেরোচ্ছে ততক্ষণ। ক্রমাগত নাড়তে থাকবেন না হলে পুড়ে যাবে। ৩ থেকে ৪ মিনিট মত সময় লাগবে। হয়ে গেলে একটি থালায় নামিয়ে নিন।
এবার চাটুতে শুকনো আদা দিন। নর্মাল আদা শুকিয়ে গেলে এবার থেকে ফেলে না দিয়ে চাট মসলা বানাতে ব্যবহার করুন। গোটা শুকনো আদা ২ ইঞ্চি মত লাগবে। সাথে দিন শুকনো লঙ্কা একটা, গোটা গোলমরিচ দুই চামচ, লবঙ্গ ৭-৮ পিস আর জায়ফল হাফ টুকরো। কম আঁচে ৫ মিনিট মত রোস্ট করে জিরে, ধনে রাখা থালায় এগুলো ঢেলে দিন।
পুদিনা পাতা এবার ওই গরম চাটুতে কম আঁচে রঙ বদল না হওয়া পর্যন্ত রোস্ট করুন। পুদিনা পাতা ৩ চা চামচ মত লাগবে এর জন্য। আর কিছু লাগবে না রোস্ট করার জন্য। পুদিনা পাতা রোস্ট করা হয়ে গেলে থালায় তুলে রাখুন। রোস্ট করা উপকরণ একটি থালায় রেখে পাখার নিচে ঠাণ্ডা করুন।
দ্বিতীয় ধাপে চাট মসলা বানানোঃ
ভালো করে ঠাণ্ডা হয়ে গেলে সব উপকরণ মিক্সির জারে ঢালুন। এবার তাতে আমচুর পাউডার ১/৪ কাপ দিন। আর দিন ১/২ চামচ হিং। নুন দিয়ে দিন এক চামচ। ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। একদম মিহি গুঁড়ো যেন হয়। তৈরি হয়ে গেল চাট মসলা। দেখলেন কত সহজে এটি বানানো যায়। শুধু একটু সময় খরচ করতে হবে এর জন্য।
চাট মসলা বানানো হয়ে গেলে পরিষ্কার কাঁচের জারে বা বোতলে ভরে রেখে দিন। হাওয়া যেন না ঢোকে এর মধ্যে খেয়াল রাখবেন তাহলেই হবে। স্যাঁতস্যাঁতে বা অন্ধকার জায়গায় রাখবেন না। নর্মাল রান্না ঘরের তাঁকে রাখবেন।
Excellent reciepe.
Thank you 🙂