বাঙালি কাছে তড়কা মানে এগ তড়কা, ডাল তড়কা, চিকেন এগ তড়কা ইত্যাদি। আর এই তিনটে তড়কা খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ কমই আছেন। বাড়িতে তড়কা বানালেও কিছু যেন একটা মিসিং থাকে খাওয়ার সময়। আর তা হচ্ছে তড়কা মসলা। এবার থেকে তড়কা বানানোর প্ল্যান থাকলে কয়েক মিনিট আগে বানিয়ে নিন প্যাকেট এর মতো তড়কা মশলা। রান্নাঘরে থাকা সামান্য উপকরণ দিয়ে এটি চটজলদি বানিয়ে নেওয়া যায়।
প্যাকেট এর মতো তড়কা মশলা বানানোর উপকরণঃ
- এক ইঞ্চি দারচিনি
- দুটো শুকনো লঙ্কা
- কাশ্মীরি লাল লঙ্কা একটা
- এক ইঞ্চি শুকনো আদা
- একটা বড় কালো এলাচ
- দুটো ছোট সবুজ এলাচ
- ১ চা চামচ গোটা ধনে
- ১/২ চামচ সাদা ও কালো গোটা গোলমরিচ
- ৫-৬ লবঙ্গ
- ১ চা চামচ গোটা জিরে
- ১/২ চামচ মেথি
- এক চামচ হলুদ
- এক চামচ বিট নুন
- ১/২ চামচ গার্লিক পাউডার
- ১ চামচ অনিয়ন পাউডার
- ১/২ চামচ আমচুর পাউডার
প্যাকেট এর মতো তড়কা মশলা বানানোর পদ্ধতিঃ
উপকরণের লিস্ট দেখে ঘাবড়াবেন না। এই সবকটি জিনিস প্রায় প্রত্যেকের রান্না ঘরে থাকে। তবে অনিয়ন পাউডার, গার্লিক পাউডার না থাকলে তা ঘরেই বানিয়ে নেওয়া যায়। রোদে শুকিয়ে রসুন, পেঁয়াজ গুঁড়ো করে নিলেই পাউডার রেডি। যাইহোক চলুন দেখে নেওয়া যাক তড়কা মসলা বানানোর পদ্ধতি।
চাটুতে এক ইঞ্চি দারচিনি, দুটো শুকনো লঙ্কা, কাশ্মীরি লাল লঙ্কা একটা, এক ইঞ্চি শুকনো আদা, একটা বড় কালো এলাচ, দুটো ছোট সবুজ এলাচ, ১ চা চামচ গোটা ধনে, ১/২ চামচ সাদা ও কালো গোটা গোলমরিচ, ৫-৬ লবঙ্গ, ১ চা চামচ গোটা জিরে, ১/২ চামচ মেথি এক এক করে দিয়ে রোস্ট করে নিন। কম আঁচে ২ থেকে ৩ মিনিট এগুলো নেড়ে নিন। সবকটা মসলার গন্ধ বেরোলেই গ্যাস অফ করুন। তারপর সম্পূর্ণ ভাবে এগুলো ঠাণ্ডা করে মিক্সিতে মিহি গুঁড়ো করুন।
মসলার মিহি গুঁড়োর সাথে এক চামচ হলুদ মেশান। এখানে বলে রাখি যে হলুদ মেশানোর আগে চাটুতে হালকা রোস্ট করে নেবেন। হলুদ মেশানোর পর এতে এক এক করে এক চামচ বিট নুন, ১/২ চামচ গার্লিক পাউডার, ১ চামচ অনিয়ন পাউডার, ১/২ চামচ আমচুর পাউডার মেশান। ভালো করে সবকটা উপকরণ মিশিয়ে নিলেই তৈরি তড়কা মসলা। কাঁচের বোতলে ভরে ৬-৭ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেন।
বিশেষ টিপসঃ
শুকনো আদা দোকানে পাওয়া যায় তবে তা না ব্যবহার করে আদা ঘরেই শুকিয়ে নিতে পারেন। আদার খোসা ছাড়িয়ে কড়া রোদে দুদিন রাখলেই শুকনো আদা তৈরি হয়ে যাবে।