প্রত্যেক মায়ের রোজ সকালে একটাই চিন্তা থাকে যে তার সোনামণি কি খাবে ব্রেকফাস্টে। কারণ বাচ্চাদের খাওয়া নিয়ে সবচেয়ে বেশি বায়না থাকে। তাই মায়েরা রোজ চেষ্টা করে হেলদি ও টেস্টি খাবার খাওয়ানোর। আজ এমনই একটা খাবার নিয়ে হাজির হলাম যা টেস্টি হওয়ার পাশাপাশি খুবই হেলদিও। বানানো খুবই সহজ। এটা বানানোর তেমন বেশি ঝামেলাও নেই। একবার বানিয়ে আপনার ছোট্ট সোনাকে খাওয়ালে বারবার সে খেতে চাইবে। চলুন কথা না বাড়িয়ে দেখে নেওয়া যাক কি কি লাগবে আর কি বানাতে হবে।
উপকরণঃ
- এক কাপ ময়দা
- সেদ্ধ আলু এক বাটি
- ধনেপাতা এক কাপ
- ধনেপাতা কুচি ২ চামচ
- আদা ছোট এক টুকরো
- রসুন ৫ কোয়া
- কাঁচা লঙ্কা একটা (ঐচ্ছিক)
- হলুদ গুঁড়ো ১/৩ চামচ
- জিরে গুঁড়ো ১/২ চামচ
- ধনে গুঁড়ো ১/৩ চামচ
- লঙ্কার গুঁড়ো ১/৩ চামচ
- আমচুর পাউডার ১/২ চামচ
- গোটা চিরে ১/২ চামচ
- লবণ স্বাদ অনুযায়ী
- বেকিং পাউডার ১/৩ চামচ
- জল প্রয়োজন মত
- তেল ভাজার জন্য প্রয়োজন মত
পদ্ধতিঃ
একটি মিক্সতে আদার টুকরো, রসুনের কোয়া, কাঁচা লঙ্কা, ধনেপাতা এক কাপ, সেদ্ধ আলু আর সামান্য জল দিয়ে পিষে নিন। একদম মিহি করে পেস্ট করবেন। তারপর একটি বাটিতে এক কাপ ময়দা নিয়ে তাতে এই মিশ্রণ ঢেলে নিন। তারপর ভালো করে মাখুন। জল যোগ করে না খুব পাতলা না খুব মোটা একটা মিশ্রণ বানিয়ে নিন। ভালো করে মেশাবেন। তারপর এতে এক এক করে হলুদ, জিরে, ধনে, লঙ্কা গুঁড়ো, আমচুর পাউডার, গোটা জিরে আর স্বাদ অনুযায়ী লবণ দিয়ে মেশান। সবশেষে ধনেপাতা কুচি ২ চামচ দেবেন।
প্যানে তেল সামান্য দিয়ে গরম করুন। তারপর একটা হাতাতে সামান্য মিশ্রণ নিয়ে গরম তেলে রুটির মত করে ছড়িয়ে দিন। গোল করে সমান ভাবে লেয়ার হবে। তারপর ঢেকে কম আঁচে মিনিট পাঁচেক রান্না করুন। নিচের দিক হয়ে গেলে উল্টে দিয়ে ওপিঠ ভেজে নিন। দুই দিক ভাজা হলে তুলে রাখুন। এভাবে সবটা মিশ্রণ থেকে রুটি বানান। সামান্য টমেটো কেচাপ দিয়ে বাচ্চাদের পরিবেশন করুন। এক টুকরো মুখে দিয়ে বাচ্চারা খুশির হাসি দেবে আপনাকে।