বাংলার গ্রামে গ্রামে হাজার একটা রান্নার কৌশল রয়েছে যার স্বাদের কাছের আধুনিক খাবার দাবার কিছুই না। এরকম একটি পদ হচ্ছে মাছের ডিম দিয়ে পুঁইপাতার বড়া। অপূর্ব স্বাদের খেতে এটি। মোটা চালের ভাত তাতে সামান্য ঘি আর এই বড়া, বিশ্বাস করুন তৃপ্তির খাবার। মাছের ডিমের বড়া, এর ডালনা এসব সাধারণত আমরা খেয়ে থাকি। কিন্তু একবার হলেও আজকের এই রেসিপি ট্রাই করুন। বাড়িতে নেক্সট টাইম মাছের ডিম এলে সাথে কয়েকটি পুঁইশাকের পাতা আনিয়ে নেবেন। আর খুব সহজে বানিয়ে ফেলতে পারবেন এই রেসিপি। চলুন দেখে নেওয়া যাক কি কি লাগবে এটা বানাতে আর কিভাবে বানাতে হবে।
উপকরণঃ
- মাছের ডিম এক বাটি
- পুঁইপাতা ১০-১২ টা
- হলুদ ১/৩ চামচ
- একটা পেঁয়াজ কুচি
- দুটো কাঁচা লঙ্কা কুচি
- স্বাদ অনুযায়ী নুন
- বেসন এক বাটি
- লঙ্কার গুঁড়ো ১/৩ চামচ
- কালোজিরে সামান্য
- কয়েকটা টুথ পিক বা কাঠি
- ভাজার জন্য তেল
বানানোর পদ্ধতিঃ
মাছের ডিম পরিষ্কার করে ধুয়ে একটি বাটিতে রাখুন। পেঁয়াজ আর লঙ্কা একদম কুচি কুচি করে কেটে নিন। এবার মাছের ডিমের মধ্যে সামান্য হলুদ স্বাদ অনুযায়ী নুন আর পেঁয়াজ, লঙ্কা কুচি দিয়ে ভালো করে মেখে নিন। একটি বাটিতে বেসন, লঙ্কার গুঁড়ো, কালোজিরে, স্বাদ অনুযায়ী নুন মিশিয়ে নিন। তারপর অল্প অল্প করে জল দিয়ে একটা ব্যাটার বানান। পাতলা বানাবেন না। একটু থিক বা ঘন হবে।
পুঁইশাকের পাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে রাখুন। পাতার মাথার উপরের বোটা ভেঙে ফেলে দিন। এবার পাতার মাঝখানে চামচের সাহায্যে সামান্য একটু মাছের ডিম রেখে পাতা মুড়ে টুথ পিক বা কাঠি দিয়ে আটকে দিন। এক এক করে সবকটা পাতায় ডিম ভরে পাতা মুড়ে আটকে রাখুন। কড়াইয়ে তেল ভালো করে গরম করে আঁচ কমিয়ে দিন। তারপর একটা একটা করে পাতা বেসনের ব্যাটারে ডুবিয়ে তেলে ছাড়ুন। সবকটা কড়া করে ভেজে নিন। তবে কম আঁচে একটু সময় নিয়ে ভাজবেন, তাহলেই মাছের ডিম পাতার ভিতরে সঠিক মাত্রায় রান্না হবে। তৈরি হয়ে গেল মাছের ডিম দিয়ে পুঁইপাতার বড়া। গরম গরম ভাতে সামান্য ঘি ছড়িয়ে খেয়ে দেখুন এই বড়া। একবার খেলে বারবার বানাবেন গ্যারান্টি আমার।