মসলা ধোসা খেতে সবাই পছন্দ করে। ভারতের দক্ষিণ বেল্টের মানুষ ধোসার পাশাপাশি সাম্বার খেতে খুব পছন্দ করেন এবং ভাতের সাথেও খান। কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে আপনি যে মসলা ধোসা বাড়িতে তৈরি করেন তাতে দক্ষিণ ভারতীয়দের খাবারে যে স্বাদ, তা নেই। গান পাউডার মসলার কারণে এটি ঘটে। আসলে, আমরা বাজার থেকে ধোসা মসলা কিনে বাড়িতে যে ধোসা এবং সাম্বার তৈরি করি তাতে অথেনটিক স্বাদ আসেনা। যদিও দক্ষিণ ভারতীয় লোকেরা বাড়িতে তৈরি গান পাউডার মসলা ব্যবহার করেন। সুতরাং, আপনি যদি আপনার হাতে তৈরি ধোসা এবং সাম্বারে দক্ষিণ ভারতীয় স্বাদ আনতে চান, তবে ঘরে তৈরি গান পাউডার মসলা ব্যবহার করুন। এখানে তার রেসিপি বলে দেওয়া হল। দক্ষিণী খাবার ছাড়াও এই মসলা রোজকারের তরকারি বা মাছের ঝোলে ব্যবহার করে স্বাদ ডবল করতে পারেন।
উপকরণঃ
- ছোলার ডাল ছোট ১ বাটি
- আস্ত ধনে ছোট ১/২ বাটি
- গোটা জিরা ছোট ১/২ বাটি
- মেথি বীজ ছোট ১/২ বাটি
- উরদ ডাল ছোট ১/২ বাটি
- সরিষা দানা ছোট ১/৪ বাটি
- তেঁতুল ৪-৫ বড় টুকরো
- রসুনের কোয়া ৮-১০ টি
- কারিপাতা ৮-১০ টি
- হিং ১/২ চা চামচ
- শুকনো লঙ্কা কুচি ১/২ বাটি
- লবণ ১ টেবিল চামচ
পদ্ধতিঃ
গ্যাসের কম আঁচে একটি প্যান রাখুন এবং তাতে ছোলার ডাল, আস্ত ধনে, জিরা, মেথি, উরদ ডাল ও সরিষা দিয়ে ভাজুন। কয়েক মিনিট কম আঁচে ভাজলে সুন্দর গন্ধ বের হবে। তারপর এতে এক এক করে তেঁতুল, রসুন, কারিপাতা, হিং, শুকনো লঙ্কা ও লবণ দিয়ে ৭-৮ মিনিট ভাজুন। মসলাগুলো ভালোভাবে ভাজা হয়ে গেলে এবং তা থেকে সুগন্ধ আসতে শুরু করলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। একটি প্লেটে সব মসলা তুলে নিন। সম্পূর্ণ ভাবে এটা ঠাণ্ডা হতে দিন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে এবার এই সব মসলা গ্রাইন্ডারে বা শিল পাটায় পিষে নিন। ভালো করে গুঁড়ো করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে গান পাউডার। ঘরে নেক্সট টাইম ধোসা বা সাম্বার বানানোর সময় বাইরের মসলা ব্যবহার না করে এটি করুন। খেয়ে নিজেই তফাৎ বুঝতে পারবেন। এটি বানিয়ে বয়ামে ভরে মাসের পর মাস সংরক্ষণ করতে পারেন চাইলে।