আজকের খাদ্যাভ্যাস এমন হয়ে গেছে যে পেটে গ্যাস তৈরি হওয়া, অ্যাসিডিটির মতো রোগ হয়ে গেছে। আর বিশেষ করে আমরা বাঙালীরা বিভিন্ন ধরনের ভাজা জিনিস খেয়ে থাকি যা পেটে, বুকে বা কখনো কখনো অ্যাসিডিটির আকারে মাথায় প্রচণ্ড ব্যথা করে। সেই সময় মনে হয় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ব্যথা উপশম করা উচিত। বিশেষ করে ঘুগনি খাওয়ার পর বেশির ভাগ সময় গ্যাস হয়। বুক জ্বালা করে, কিন্তু এটি না খেয়েও থাকা যায় না। এই উৎপন্ন গ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়ার অনেক ঘরোয়া উপায় রয়েছে, সেগুলি সম্পর্কে আপনারও জানা উচিত।
বেশি টক, মসলাদার, খাবার ঘুগনি। ফলে খাওয়ার পর গ্যাস তৈরি হয়। এ কারণে পেটে, পিঠে, বুকে ব্যথা শুরু হয়, বুক ও পেটে জ্বালাপোড়া করে। এই জন্য, এই ঘরোয়া প্রতিকার আপনার জন্য দরকারী হতে পারে। আমরা আপনাকে বলে রাখি যে এখন থেকে যতবার আপনার গ্যাসের সমস্যা হয়, আপনাকে মেডিকেল স্টোরে ছুটতে হবে না। আপনার বাড়িতে এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা আপনার এই সমস্যার সমাধান করতে পারে।
১. এক চামচই যথেষ্টঃ
এক চামচ লেবুর রস ও আদা মিশিয়ে তাতে সামান্য কালো লবণ মিশিয়ে ঘুগনি খাওয়ার পর খেলে হজম শক্তির উন্নতি হয় এবং গ্যাসের সমস্যাও দূর হয়। তাছাড়া কুসুম গরম জলে সাথে আজওয়াইনের গুঁড়ো খান, এতে গ্যাস ও বদহজমের উপশম হয়।
তাছাড়া জলে মেথি দানা ও গুড় সিদ্ধ করে এই জল ছেঁকে পান করলে গ্যাসে আরাম পাবেন। যাদের শরীর দুর্বল, মাথা ঘোরা বা গরম প্রভাবে জিনিস হজম করতে পারে না তারা মেথির বীজ ব্যবহার করবেন না। দুই চিমটি হলুদের মধ্যে দুই চিমটি লবণ মিশিয়ে কুসুম গরম জল দিয়ে পান করুন। ভাজা হিং ও কালো নুন মিশিয়ে কুসুম গরম জলে খান, আরাম পাবেন।
ঘুগনি খেয়ে গ্যাস হলে মুলার রসে কালো লবণ ও হিং মিশিয়ে পান করুন। বেশি করে জল পান করুন, এতে পেট পরিষ্কার হবে এবং গ্যাস হবে না। পেঁয়াজের রসে কালো লবণ ও হিং পিষে পান করলে পেটের গ্যাস ও গ্যাসের ব্যথা উপশম হয়। হালকা গরম জলে দুই চামচ আপেল ভিনেগার মিশিয়ে পান করলে তাৎক্ষণিক গ্যাসের উপশম হয়। বাটারমিল্কে এক চিমটি ভাজা জিরা, কালো লবণ ও পুদিনা মিশিয়ে খাওয়ার পর পান করলে সাধারণত গ্যাসের সমস্যা হয় না।
২. আদায় রাখুন ভরসাঃ
পেটের গ্যাস দূর করতে আদার গুণ রয়েছে। গ্যাসের সমস্যায় অস্থির থাকলে আদা খান। সামান্য আদা খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে টুকরো করে মুখে দিন। চুষতে থাকুন আদার রস। কিছুক্ষণের মধ্যে বুক জ্বালা বা গ্যাস থাকলে তা উধাও হয়ে যাবে।
৩. অ্যালোভেরার রসঃ
ত্বকের জন্য অ্যালোভেরার উপকারিতা সবারই জানা, কিন্তু খুব কম মানুষই জানেন যে এটি গ্যাসের চিকিৎসায়ও বেশ উপকারী। ঘুগনি খেয়ে যদি গ্যাস হয়, বুক জ্বালা করে তাহলে চকয়েক চামচ অ্যালোভেরার রস খেয়ে নিন। খুব ভালো এটি গ্যাস কমাতে কাজ করে।
৪. পেঁপে খেয়ে দেখুনঃ
পেঁপেতে শুধু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টই নয়, এতে এনজাইমও রয়েছে যা হজমে সাহায্য করে। এটি পেটে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি হওয়া রোধ করে। তাই রোজ একটা করে পেঁপে অবশ্যই খান। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকবেন। সে ঘুগনি খান আর চিকেন তন্দুরি গ্যাসের নাম গন্ধ মুছে যাবে একবারের মত।
৫. লবঙ্গকে করুন সঙ্গীঃ
পেটের সমস্যায়ও লবঙ্গ তাৎক্ষণিক উপশম দেয়। পেটের ব্যথা ও গ্যাস সারাতে লবঙ্গ প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ঘুগনি খেতে ভালোবাসেন, কিন্তু গ্যাস হওয়ার ভয়ে খান না। তাহলে এখন থেকে সাথে লবঙ্গ রাখুন। খাওয়ার পর একটা লবঙ্গ মুখে দিয়ে রেখে দিন। আপনার গ্যাস হওয়া এটি নিমেষে আটকে দেবে। আপনি জানতেও পারবেন না।
Recommended For You
Visual Stories
Follow Us 🙂