অনন্য স্টাইলে বানানো এই পালং শাকের ঘণ্ট বানিয়ে খেলে, আঙুল চাটবেন খাবার পর। পালং শাক ও নানা রকমের সবজি যা মশলা দিয়ে রান্না করে, আলাদা ভাবে ফোঁড়ন দিয়ে বানানো এই ঘণ্ট। ভাত বা রুটি দুই দিয়েই এটা খেতে চমৎকার লাগে। নিরামিষ রান্না হিসেবে এটা একদম পারফেক্ট খাওয়ার জন্য। কোন রকমের পেঁয়াজ রসুন এতে নেই। যাকে বলে খাঁটি নিরামিষ পদ। তাহলে চলুন স্টেপ বাই স্টেপ দেখে নেওয়া যাক পালং শাকের ঘণ্ট।
উপকরণঃ
- পালং শাক ১ আঁটি
- আলু একটা মাঝারি সাইজের
- বেগুন ছোট একটা
- শিম ৫-৬ টা
- কাঁচা লঙ্কা ২-৩ টে
- হলুদ ১ চা চামচ
- লবণ স্বাদ অনুযায়ী
- বড়ি এক মুঠো
- বিউলির ডাল ১.১/২ চামচ
- চিনি ১/৪ চামচ
- সরষের তেল ১/২ কাপ
- আদা ঘষে নেওয়া ১ চামচ
- তেজপাতা ১ চামচ
- শুকনো লঙ্কা ১ টা
- পাঁচফোঁড়ন ১/২ চামচ
- ময়দা ১ চামচ
- ঘি ১ চামচ
পদ্ধতিঃ
পালং শাক ভালো করে ধুয়ে কুচি কুচি করে কেটে নিন। আলু, বেগুন ও শিম ডুমো ডুমো করে কেটে নিন। কাঁচা লঙ্কা চিঁড়ে রাখুন। কড়াইয়ে ২ চা চামচ সরষের তেল গরম করে তাতে বড়ি দিয়ে ভেজে তুলে রাখুন। তারপর আরও কয়েক চামচ তেল এতে দিয়ে গরম করে প্রথমে আলু দেবেন। আলু সামান্য রঙ বদলালে এতে বেগুন ও শিম দেবেন। মিনিট পাঁচেক ভাজার পর শাক দিয়ে ভাজবেন। হলুদ, লবণ আর চিনি মিশিয়ে ঢেকে এটা রান্না করবেন। আলু নরম হয়ে এলে এটা তুলে রাখুন একটা থালায়।
কড়াই পরিষ্কার করে বাকি তেল দিয়ে গরম করুন। তারপর তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, পাঁচফোড়ন ও বিউলির ডাল দিয়ে এতে ঘষে রাখা আদা দিন। একটু কষিয়ে নিয়ে আগে ভেজে রাখা শাক ঢেলে মেশান। এতে এক চামচ ময়দা দিয়ে মেশান। তারপর জল মজে অর্ধেক হলে ভেজে রাখা বড়ি একটু ভেঙে দিয়ে দিন। নামানোর আগে ঘি ছড়িয়ে দিন। তৈরি নিরামিষ পালং শাকের ঘণ্ট।