কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একজন ভোজন রসিক মানুষ। নানা রকমের নানা ধরণের খাবার খেতে ও এক্সপেরিমেন্ট করতে তিনি বরাবর পছন্দ করতেন। কাবার নোসি থেকে আনারস দিয়ে মটন কি ছিল না তাঁর পছন্দের তালিকায়! চলুন দেখে নেওয়া যাক রবি ঠাকুরের কিছু প্রিয় খাবারের তালিকা।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের পছন্দের নিরামিষ খাবারঃ
ঠাকুর বাড়ির আদরের রবি ছোটবেলা থেকে আমিষ নিরামিষ দুই ধরণের খাবার খেতেই পছন্দ করতেন। তবে নিরামিষের দিকে টান ছোটবেলায় বেশি ছিল। সোনা মুগের ডাল ছিল তাঁর অন্যতম পছন্দের খাবার, তবে তাতে সজনে ডাটা থাকা চাই চাই। এছাড়া ফুলকপি দিয়ে তৈরী নানান পদ, নারকেল বাটা দিয়ে ইঁচড়, পাঁচ ফোঁড়ন সহ যোগে নিরামিষ তরকারি, লুচি সাদা আলু দিয়ে, দুধ শুক্তো, ঝিঙে পোস্ত, কলার মোচার কোপ্তা, কখন কখন সন্দেস, কলা, দুধে ফেলে মেখে খেতেন।বাঙালী খাবার তাঁর পছন্দে ছিল সেটা বলা বাহুল্য। আরও কত কি! লিখে শেষ করা যাবে না।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের পছন্দের আমিষ খাবারঃ
আমিষ পদে আর তাঁর প্রিয় খাবারের তালিকায় ছিল চিকেন কাবাব নোসি, সুরতি মিঠা কাবাব। মাছের পদের মধ্যে কাঁচা ইলিশের ঝোল, চিতল মাছের মুঠে, নারকেল চিংড়ি, আদা দিয়ে মাছের ঝোল, রুই মাছের কালিয়া। তবে তাঁর সবচেয়ে পছন্দের মটনের পদ ছিল ইঁচড় দিয়ে কচি পাঁঠার মাংস। কৈ মাছের তরকারি, চিতল মাছের পেটি ভাজা খেতে খুব ভালোবাসতেন।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের পছন্দের বিদেশী খাবারঃ
ব্রিটিশ নানা রকমের পদ, আপেল দিয়ে রান্না খাসীর মাংস, তুর্কী কাবাব, প্রিয় খাবারের তালিকায় ছিল। আনারস দিয়ে মটন বিদেশ থেকে খেয়ে এসে ঠাকুর বাড়িতে বানানোর আদেশ দেন। খুব পছন্দ করতেন তিনি এটি। এছাড়া চিংড়ির কাটলেট, হ্যাম প্যাটি, কন্টিনেন্টাল ফ্রুট স্যালাড, জাপানি চা ইত্যাদি।
মিষ্টি মুখে কি পছন্দ করতেন কবিগুরুঃ
নারকোল দিয়ে তৈরী মিষ্টি,পায়েস, চন্দ্রপুলি, ক্ষীর, দই দিয়ে বানানো মালপোয়া, চিড়ের পুলি, মানকচুর জিলিপি, আমসত্ত্ব খেতে খুব ভালবাসতেন। পায়েস ও পিঠে পুলি খেতে তিনি বেশি পছন্দ করতেন।
কবিগুরুর পছন্দের ফলঃ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফল খেতে পছন্দ করতেন। মরশুমি ফল মোটামুটি সবই তিনি খেতেন। তবে বিশেষ করে পাকা পেপে, কলা, বাতাবি লেবু আম ছিল তাঁর বেশি পছন্দের। আম ছিল রবীন্দ্রনাথের সবচেয়ে প্রিয় ফল। বৈশাখ-জ্যেষ্ঠ মাস এলে রবীন্দ্রনাথ খুবই খুশি হয়ে উঠতেন। তিনি আম চুষে চুষে খেতে পছন্দ করতেন, কেটে খাওয়া ছিল তাঁর অপছন্দের।