গরম ভাত আর তার সাথে যেকোনো ভর্তা থাকলে বাঙালীর বিশেষ কিছু আর প্রয়োজন হয় না। তবে ভর্তা বানানোর ঝামেলা আছে, সেকথা মানতে হবে। আরে আমি আমার মত ল্যাদখোর পাবলিকের কথা বলছি। তাছাড়া ধরুন যারা বাড়ির বাইরে একা থাকে। বিশেষ করে ছাত্রছাত্রী ও কর্মজীবী ব্যাচেলার ছেলেমেয়ারা। তাদের ঘরে শিল পাটা বা মিক্সি না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। এমন অবস্থায় যদি ভর্তা বানিয়ে খাওয়ার মন চায় তাহলে কি আমরা খাবো না ভর্তা! নিশ্চয়ই খাবো। কোন রকমের বাটা বা মিক্সিতে ব্লেন্ডের ঝামেলা ছাড়া ৩ রকমের টেস্টি ভর্তার রেসিপি বানিয়ে নিন। যেমন খেতে তেমন দেখতেও হয় এই ভর্তাগুলো। বেশি কথা না বলে দেখে নেওয়া যাক রেসিপি।
উপকরণঃ
- শুকনো লঙ্কা
- রসুনের কোয়া
- লবণ
- সরষের তেল
- ধনেপাতা কুচি
- পেঁয়াজ কুচি
- শিমের দানা
- কড়াইশুঁটি
- পটল
ভাবছেন এ আবার কিরকম উপকরণের তালিকা। আসলে তিনটে ভর্তা বানাতে এই সামান্য উপকরণ লাগবে। কিসের কিসের ভর্তা বানাবেন আর কত কি পরিমান চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১. শিমের দানার ভর্তাঃ
শিমের দানা এক কাপ সেদ্ধ করে নেবেন। তারপর সামান্য তেলে শুকনো লঙ্কা ২-৩ টে আর রসুনের ১০ টা কোয়া ভেজে তুলে নেবেন। এই তেলেই সেদ্ধ দানা হালকা সতে করে তুলে নেবেন। একটি প্লেটে দানা হাত দিয়ে চটকে মেখে নিন। তাতে শুকনো লঙ্কা, রসুন, লবণ আর সামান্য পেঁয়াজ কুচি মিশিয়ে মাখবেন। ভর্তা মাখা হলে উপর থেকে অল্প সরষের তেল ছড়িয়ে দিলেই রেডি।
২. পটলের ভর্তাঃ
পটল ১০ টা খোসা ছাড়িয়ে সেদ্ধ করে জল একদম চিপে নেবেন। তারপর তেলে শুকনো লঙ্কা ২-৩ টে আর রসুনের ১০ টা কোয়া ভাজবেন। পটল অল্প ভেজে নেবেন। থালায় নিয়ে সব একসাথে মাখবেন। সামান্য ধনেপাতা কুচি, লবণ আর সরষের তেল দেবেন মাখার সময়। তৈরি পটলের ভর্তা।
৩. কড়াইশুঁটির ভর্তাঃ
কড়াইশুঁটি ২ কাপ সেদ্ধ করে নিয়ে জল ঝরিয়ে রাখবেন। তারপর শুকনো লঙ্কা ৩ টে আর এক মুঠো পেঁয়াজ ভেজে নেবেন। রসুন এতে লাগবে না। কড়াইশুঁটি থেঁতলে নিয়ে এতে শুকনো লঙ্কা, রসুন, লবণ আর সামান্য ধনেপাতা দিয়ে মাখবেন। পরিবেশনের আগে উপরে সরষের তেল ছড়িয়ে দেবেন। রেডি হয়ে যাবে কড়াইশুঁটির ভর্তা।