পুজো শুরু হল বলে। ষষ্ঠী মায়ের বোধনের দিন। তাই ঘরে ঘরে নিরামিষ রান্না হবে। এবছর বাকি পদের সাথে যদি পুরনো একটা পদ বানানো হয় তাহলে কেমন হবে? মন্দ হবে না তাই তো! সিমাই পটল বানিয়ে ফেলুন তাহলে। বহু পুরনো সময়ের একটি খাবার। সহজ সরল কিন্তু অপূর্ব স্বাদের নিরামিষ রান্না। বানানোর জন্য বেশি আয়োজনের দরকার নেই।
আপনার হেঁশেলে রয়েছে সব উপকরণ। বাজার থেকে টাটকা কয়েকটা পটল আর সিমাই নিয়ে আসলেই তৈরি করতে পারবেন এটি। সিমাই পটল ভাত, লুচি, পরোটা, পোলাও সব কিছুর সাথেই চাইলে খেতে পারেন। অপূর্ব স্বাদের একটি রান্না। স্টেপ বাই স্টেপ এটি বানানোর পদ্ধতি দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণঃ
- পটল ১২-১৫ টা
- কাজুবাদাম এক মুঠো
- কিশমিশ এক মুঠো
- সিমাই দেড় মুঠো
- হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ
- জিরের গুঁড়ো ১ চা চামচ
- গরমমসলা ১ চামচ
- ঘি ২ চামচ
- কাঁচা লঙ্কা ৪-৫ টা
- আদা বাটা বড় ১ চামচ
- গোটা জিরে এক চামচ
- তেজপাতা ২ টো
- লবঙ্গ ২-৩ টে
- এলাচ ৩-৪ টে
- দারুচিনি দেড় ইঞ্চি
- সাদা তেল প্রয়োজন মত
- লবণ স্বাদ অনুযায়ী
- চিনি ১/২ চামচ
পদ্ধতিঃ
প্রথম ধাপঃ
পটল খোসা ছাড়িয়ে দুদিকের বোটা কেটে ফেলে দিন। পটলের দুই দিকের মুখ ছুরি দিয়ে চিরে দিন। কড়াইয়ে সামান্য সাদা তেল গরম করে পটল দিয়ে দিন। নরম করে ভাজুন সামান্য লবণ আর হলুদ দিয়ে। হয়ে গেলে তুলে একটি প্লেটে রাখুন।
দ্বিতীয় ধাপঃ
কড়াইয়ে এক চামচ ঘি দিয়ে তাতে তেজপাতা, এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি আর এক চামচ গোটা জিরে দিয়ে দিন। তারপর এতে আদা বাটা বড় এক চামচ দিন। একটি বাটিতে হলুদ গুঁড়ো, জিরের গুঁড়ো সামান্য জল দিয়ে গুলে রাখুন। আদার কাঁচা গন্ধ চলে গেলে এতে হলুদ জিরে দিয়ে দিন। কষান তেল ছাড়া না পর্যন্ত।
তৃতীয় ধাপঃ
কষানো হলে এতে কাজু, কিশমিশ আর কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিন। তারপর দিন সিমাই। ভালো করে মিশিয়ে কম আঁচে কষিয়ে নিন সব। তারপর এতে এক থেকে দেড় কাপ জল দিন। জল ফুটতে শুরু করলে ভেজে রাখা পটল দিন। পটল সেদ্ধ হয়ে জল মজে আসলে এতে এক চামচ ঘি আর এক চামচ গরমমসলা দিয়ে মিশিয়ে নিন। আঁচ বন্ধ করে ঢেকে কয়েক মিনিট রাখুন। প্রস্তুত হয়ে গেল নিরামিষ সিমাই পটল।