বাঙালীর কাছে ফেনা ভাত মানে সেদ্ধ ভাত মাড়সহ সাথে আলু সেদ্ধ, কাঁচা লঙ্কা আর ঘি। অমৃত লাগে খেতে। আজ ফেনা ভাতের অন্যরকম একটা রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম। বিশ্বাস করুন খুবই সুস্বাদু ও লোভনীয় খাবার। বিশেষ করে যেসব বাচ্চা ও বড়রা একদম সবজি খেতে পছন্দ করে না, তারাও গবগব করে এটি খেয়ে নেবে। অপূর্ব টেস্টি লাগে এটা খেতে। আজকের ফেনা ভাতের রেসিপি সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি পুষ্টিকরও বলতে পারেন। বানানো খুবই সহজ চলুন দেখে নেওয়া যাক এর রেসিপি।
উপকরণঃ
- গোবিন্দ ভোগ চাল এক কাপ
- মটর ডাল ১/৩ কাপ
- আলু ২ টো
- ঝিঙে ২ টো
- গাজর ১ টো
- কুমড়ো ১০০ গ্রাম
- লাউপাতা বা কুমড়ো পাতা ৩-৪ টে
- কাঁচা লঙ্কা ৪-৫ টা
- সামান্য সরষের তেল
- স্বাদ অনুযায়ী নুন
- ঘি ১-২ চা চামচ
পদ্ধতিঃ
মটর ডাল পরিষ্কার করে ধুয়ে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। আর যদি ভেজাতে ভুলে যান তাহলে ৪-৫ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন সকাল সকাল। তারপর ডাল পিষে নিন। সব সবজি এক এক করে ডুমো ডুমো করে কেটে নিন। চাইলে নিজের পছন্দের যেকোনো সবজি ব্যবহার করতে পারেন বেগুন ছাড়া। কড়াইয়ে ২ কাপ জল গরম করে তাতে ১/২ চামচ লবন ও এক চামচ সরষের তেল দিন। তারপর পিষে নেওয়া ডাল মুইঠ্যার মত হাতের মুঠোয় চেপে চেপে এতে দিন। পাঁচ থেকে ছয়টা মত হবে। ডালের মুইঠ্যা ঢাকা দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ হয়ে গেলে টুকরো করে ভেঙে একটি পাত্রে তুলে রাখুন।
বড় হাঁড়িতে ৩-৪ কাপ জল দিন। জল ফুটলে এতে এক এক করে সবজি দিন। যে সবজি সময় নেয় সেদ্ধ হতে তা আগে দেবেন তারপর বুঝে বুঝে বাকি সবজি যোগ করবেন। আলু, গাজর অর্ধেক সেদ্ধ হলে চাল আর বাকি সবজি দিয়ে দিন। লাউ পাতা বা কুমড়ো পাতা এখন দেবেন না। ভাত খানিকটা সেদ্ধ হয়ে গেলে পাতা দেবেন। স্বাদ অনুযায়ী নুন দিন। তারপর ঢেকে সেদ্ধ করে নিন। ফেনা ভাতের মাড় গালতে হয় না। গ্যাস অফ করার মিনিট কয়েক আগে ডালের মুইঠ্যা, কাঁচা লঙ্কা আর ঘি ছড়িয়ে দিন। গরম গরম দুর্দান্ত স্বাদের ফেনা ভাত খাওয়ার জন্য রেডি।