রোজ রোজ সময় ধরে ভালো মন্দ নানান খাবার, রান্না করা সম্ভব হয় না সবার পক্ষে। বিশেষ করে রোজ এক কাজ করতে করতে একঘেয়েও লাগে। কিন্তু আমার মত যারা রান্না করেন রোজ তাদের একটাই চিন্তা থাকে ভালো স্বাদের খাবার পরিবারের জন্য বানানো। কিন্তু যেদিন ধরুন ল্যাদ খেতে মন চায় বেশি সেদিন কি করা যায়! এমন একটা খাবার বানান যা মাত্র ১৫ মিনিটে রেডি হয়ে যাবে দুপুরের লাঞ্চে বা রাতের ডিনারে।
যেহেতু বাঙালী সেই জন্য ভাত ছাড়া অন্য খাবারে অত মন টানে না। আমার তো দুবেলা ভাত চাই চাই। তাই যেদিন অত কিছু রান্না করার ইচ্ছে করে না অথচ টেস্টি খাবার খেতে মন চায় তখন এটা আমি বানাই। মাত্র ১৫ মিনিটে তৈরি হয়ে যায় ভাতের এই পদ। এর সাথে অন্য আর কিছুর প্রয়োজন হয় না সাথে। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই রেসিপি।
উপকরণঃ
- চাল এক কাপ
- ডিম ৩ টে
- গাজর ১/২ কাপ
- পেঁয়াজ একটা কুচি করা
- ক্যাপসিকাম ১/২ কাপ
- বিন্স ১/২ কাপ
- ধনেপাতা কুচি ২ চা চামচ
- মাখন ২ চা চামচ
- দারুচিনি ১/২ ইঞ্চি
- লবঙ্গ ৩ টে
- এলাচ ২ টো
- গোলমরিচ গুঁড়ো ছোট ১ চামচ
- জল প্রয়োজন মত
- লবণ স্বাদ অনুযায়ী
পদ্ধতিঃ
চাল ভালো করে ধুয়ে ভিজিয়ে রেখে দিন ১ ঘণ্টা। এটা করার জন্যই রান্না ১৫ মিনিটে তৈরি হয়ে যাবে। এবার পেঁয়াজ, গাজর, ক্যাপসিকাম, বিন্স ও ধনেপাতা একদম কুচি করে কেটে নিন। এবার প্রেশার কুকারে মাখন ২ চা চামচ দিয়ে গলিয়ে নিন। তারপর দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ দিয়ে নেড়ে পেঁয়াজ কুচি যোগ করুন। এক মিনিট ভেজে নিয়ে তারপর গাজর ১/২ কাপ, ক্যাপসিকাম ১/২ কাপ, বিন্স ১/২ কাপ আর ধনেপাতা দিয়ে মাঝারি আঁচে হালকা ভেজে নেবেন। মিনিট ৩ সময় লাগবে।
সবজি ভাজা হয়ে গেলে ভেজানো চালের জল ঝরিয়ে এতে দিয়ে মেশান। স্বাদ অনুযায়ী লবণ আর গোলমরিচ গুঁড়ো ছোট ১ চামচ যোগ করুন। তারপর সেদ্ধ করার জন্য দেড় কাপ জল দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এতে ভাতের মাড় গালার কোন দরকার পড়বে না। প্রেশার কুকার খুলে একটা হাতা দিয়ে ভাতের তিন দিকে চাপ দিয়ে তিনটে হালকা গর্ত করে নিন। এবার এতে তিনটে ডিম ফাটিয়ে দিয়ে গ্যাসের আঁচ কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। কুকার আটকাবেন না। মিনিট ৫ কম আঁচে এটা রাখবেন। মাত্র ১৫ মিনিটে তৈরি টেস্টি লাঞ্চ বা ডিনার। গরম গরম এর স্বাদ উপভোগ করুন।