একবার আপনি এই সুস্বাদু ব্রেকফাস্ট তৈরি করে খেলে আপনি ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রতিদিন রাতের আটা মাখা সংরক্ষণ করবেন। এত সুস্বাদু আর চটপটা খাবার ঘরে খুবই কম বানানো হয়। একবার বানিয়ে খেলে বার বার বানিয়ে খেতে ইচ্ছে করবে। বাচ্চারা যারা রুটি খেতে পছন্দ করে না তারা রোজ স্কুলে এটা নিতে চাইবে। কয়েকটা সামান্য জিনিস দিয়ে সিম্পল ভাবে স্টেপ বাই স্টেপ এটা বানিয়ে ফেলতে পারবেন। আগে যদি এটা কেউ বানিয়েছেন তাহলে আমাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর যদি কেউ প্রথমবার বানান তাহলে অবশ্যই জানাবেন খেতে কেমন লাগলো।
উপকরণঃ
- আটা মাখা ৪ টে রুটির মত
- আলু দুটো মাঝারি সাইজের
- পেঁয়াজ বড় ১ টা
- কাঁচা লাল লঙ্কা ২ টো
- আদা কুচি ১ চা চামচ
- গোটা জিরে ১ চা চামচ
- গোলমরিচ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
- ধনেপাতা কুচি ২ চা চামচ
- লবণ স্বাদ অনুযায়ী
- কেচাপ ৪ চামচ
- ময়দা ছোট এক বাটি
- তেল ভাজার জন্য
- জল প্রয়োজন মত
পদ্ধতিঃ
এই রেসিপি আমি অতিরিক্ত আটা মাখা ফ্রিজে রাখা থাকলেই বানাই। আপনারা যদি এমনি সময়ে বানাতে চান তাহলে আটা মেখে ২ ঘণ্টা রেখে দেবেন। সঙ্গে সঙ্গে আটা মেখে করবেন না। তাতে ভালো হবে না।
প্রথম ধাপঃ
আলু খোসা ছাড়িয়ে গ্রেটার দিয়ে ঘষে ঘষে একদম মিহি করে কুচি করে কেটে নিয়ে জলে ভিজিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট। তারপর জল ভালো করে চিপে নিয়ে একটি বাটিতে রাখুন আলু। এতে একটা পেঁয়াজ কুচি করে দিন। আর দিন লঙ্কার কুচি, আদা কুচি, গোটা জিরে, গোলমরিচ গুঁড়ো, ধনেপাতা কুচি। লবণ বানানোর আগে যোগ করবেন না জল ছাড়তে শুরু করবে।
দ্বিতীয় ধাপঃ
এবার মাখা আটা থেকে মাঝারি সাইজের ৪ টে রুটি বানিয়ে নিন। খুব মোটা হবে না আবার খুব পাতলা হবে না। রুটি বানানোর পর আলুতে স্বাদ অনুযায়ী লবণ দিন। তারপর একটা রুটির উপর আলুর পুর রাখুন। উপরে আরেকটা রুটির লেয়ার দিন। তার উপর টমেটো কেচাপ দিয়ে দিয়ে আবার আলুর পুর দিন। আরেকটা রুটির লেয়ার দিয়ে কেচাপ আর আলুর পুর রাখুন। তারপর শেষ ৪ নম্বর রুটি দিয়ে ঢেকে চারিদিক মুড়ে দিন। একটা বড় লেয়ারসমেত রুটি তৈরি হবে।
তৃতীয় ধাপঃ
কড়াইয়ে সামান্য জল দিয়ে তাতে একটা স্ট্যান্ড রেখে একটা থালায় রুটি দিয়ে ঢেকে কম আঁচে স্টিম করুন। মিনিট ১০ সময় নেবে। তারপর ঠাণ্ডা করে তিনকোণা কেকের আকারে কেটে নিন। ময়দা একটা বাটিতে নিয়ে তাতে জল মিশিয়ে আর অল্প লবণ দিয়ে ব্যাটার বানান। এতে একটা একটা করে পিস চুবিয়ে তেলে ভেজে নিন। টমেটো সস বা পছন্দের সস দিয়ে গরম গরম খান বা খাওয়ান।