skip to content
CurryNaari
Welcome to Nandini’s world of cooking & more...

বাড়িতে চাট মসলা শেষ? জেনে নিন চাট মসলার ১০টি বিকল্প মসলা

চাট মসলা বিকল্প

অনেক রেসিপিতে চাট মসলা ব্যবহার করার কথা উল্লেখ করা থাকে। জিরা, ধনিয়া, আদা গুঁড়ো, গোলমরিচ, লাল লঙ্কা গুঁড়ো, হিং, আমচুর, শুকনো পুদিনা, কয়েক রকমের নুন, এবং সাইট্রিক অ্যাসিডের সমন্বয়ে তৈরি হয় চাট মসলা। এটি রান্নায় ট্যাঙ্গি স্বাদ এনে তো দেয়ই, তার সাথে খাবারকে করে তোলে পুষ্টিকর, কমিয়ে দেয় বদহজমের সমস্যা। কিন্তু বাড়িতে যদি চাট মসলা না থাকে তখন উপায়? জেনে নিন চাট মসলার ১০টি বিকল্প মসলা সম্পর্কে এই আর্টিকেল থেকে।

চাট মসলার বিকল্প মসলা কি আর ব্যবহার পদ্ধতিঃ

১. লেমন জুস স্পাইস মিক্সঃ 

যদি একেবারেই মসলা খেতে না চান সেক্ষেত্রে লেবুর রস আর বিট নুন চাট মসলার বিকল্প হিসেবে কাজে লাগাতে পারবেন। চাট মসলায় যেহেতু বিট নুন থাকে, সেহেতু আলাদা বিট নুন ব্যবহারে চাট মসলার মতো কিছুটা ঝাঁঝালো স্বাদ পাবেন খাবারে৷ এর সাথে লেবুর রস যোগ করলে টক স্বাদটা আসবে। চাইলে লেবুর রসের সাথে জিরা, ধনিয়া, গোলমরিচ, আর লাল লঙ্কাও দিতে পারেন স্পাইস মিক্স হিসেবে।

২. কারি পাউডারঃ 

কারি পাউডারেও বিভিন্ন রকমের মসলার মিশেল থাকে। কিছু কিছু কারি পাউডারে চাট মসলার মতো একইরকম উপকরণ থাকে। বেশিরভাগ কারি পাউডারে উপাদান থাকে ধনিয়া, জিরা, লঙ্কা গুঁড়ো, আদা, এবং অন্যান্য মসলা। কিন্তু কারি পাউডারে ম্যাঙ্গো পাউডার ও নুন থাকে না। তাই কারি পাউডারকে চাট মসলার পরিপূরক হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলে এই উপকরণগুলো মিশিয়ে নেবেন। কারি পাউডার রান্নার মধ্যে ব্যবহার করবেন, কারণ কারি পাউডার খাবারে মিশতে একটু সময় লাগে। রান্নায় কারি পাউডারের পরিমাণটাও চাট মসলার মতো হবে। অর্থাৎ ১ চা চামচ চাট মসলার পরিবর্তে ১ চা চামচ কারি পাউডার ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু এই পরিমাণটাও একবারে না দিয়ে একটু একটু করে দিতে হবে আর টেস্ট করতে হবে। 

৩. টিক্কা মসলাঃ 

টিক্কা মসলাকে চাট মসলার একটি চমৎকার পরিপূরক হিসেবে ধরা হয়৷ এই মসলা সুগন্ধি এবং টক স্বাদের। টিক্কা মসলায় থাকে ধনিয়া, জিরা, গোলমরিচ, এবং লাল লঙ্কা গুঁড়ো। কিছু কিছু টিক্কা মসলায় ম্যাঙ্গো পাউডার থাকে, যা একেবারে আসল চাট মসলার মতো স্বাদ এনে দেয়। যেহেতু টিক্কা মসলার ফ্লেভারটা স্ট্রং, সেহেতু রান্নায় সামান্য পরিমাণে দিলেই যথেষ্ট। খাবার রান্না করার মাঝপথে টিক্কা মসলা দেবেন। একেবারে শেষে দেবেন না, অথবা রান্না পুরোপুরি হয়ে যাওয়ার পরেও দেবেন না। এতে মসলা কাঁচা থেকে যাবে। 

৪. সাম্ভার মসলাঃ

সাম্ভার মসলা দক্ষিণ ভারতীয় রান্নায় ব্যবহৃত জনপ্রিয় একটি মসলা৷ এতে আছে ভাজা জিরা, ভাজা ধনিয়া, এবং লঙ্কা। আপনি এই মসলা চাট মসলার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন এই মসলায় নুন কম। এতে বিট নুনও থাকে না। তাই সাম্ভার মসলা ব্যবহারের সময় আলাদা করে নুন যোগ করবেন। 

৫. পাঞ্জাবি মসলাঃ 

পাঞ্জাবি মসলায় আছে জিরা, ধনিয়া, মৌরি, সরিষা, লাল লঙ্কা গুঁড়ো, এবং হলুদ। এই মসলা স্বাদে যেমন অনন্য তেমন গন্ধেও মন মাতায়। পাঞ্জাবি মসলা ব্যবহারে খাবারে টক-মিষ্টি-ঝাল স্বাদ পাবেন। অন্য সব মসলার মতো এই মসলাও অল্প অল্প করে রান্নায় দেবেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত স্বাদ পাচ্ছেন। 

৬. গোদা মসলাঃ 

গোদা মসলা মহারাষ্ট্রিয়ান খাবারে ব্যবহৃত হয়। এতে জিরা, ধনিয়া, লবঙ্গ, এবং লঙ্কা থাকে। তবে অঞ্চলভেদে গোদা মসলার উপকরণে কিছুটা পার্থক্য থাকে। এই মসলার স্বাদ টক-মিষ্টি-ঝাল হয়। চাট মসলার বিকল্প হিসেবে গোদা মসলা ব্যবহার করলে খাবারটা খেতে একটু মিষ্টি লাগবে। এই মসলা অনেক ধরণের রেসিপিতে ব্যবহার করা যায়। 

৭. বহরতঃ 

বহরতে গোলমরিচ আর ধনিয়া থাকার কারণে এর স্বাদটা অনেকটা চাট মসলার মতোই। কিছু বহরতে পুদিনার স্বাদ থাকে। আবার কিছু বহরতে পাপরিকা মেশানো থাকে, সেগুলো অনেক ঝাল হয়। বহরত টক স্বাদের হয় না এবং এতে নুন থাকে না। তাই বহরত ব্যবহার করার সময়ে আলাদা করে তেঁতুল বা লেবু ও নুন দিয়ে নেবেন। এই মসলার একটি সুবিধা হলো, এটি রান্নার মাঝেও ব্যবহার করা যায় আবার রান্না শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ব্যবহার করা যায়। যেসব খাবার রান্না করা যায় না তাতেও ব্যবহার করা যায়, যেমন সালাদ। বহরত অল্প অল্প করে খাবারে দিতে হবে। 

৮. হারিসসা পাউডারঃ 

এই মসলার জন্ম নর্থ আফ্রিকায়। এর স্বাদ ও গন্ধ অনেকটা চাট মসলার মতোই। চাট মসলার পরিপূরক হিসেবে হারিসসা পাউডার অথবা পেস্ট হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে ব্যবহারের আগে এর ঝালের মাত্রাটা মাথায় রাখবেন। যারা খুব বেশী ঝাল খেতে পারেন না তাদের হারিসসা এড়িয়ে চলা উচিত। হারিসসা পাউডার আর চাট মসলার মধ্যে কমন উপকরণগুলো হচ্ছে জিরা, ধনিয়া, পুদিনা, এবং শুকনো লঙ্কা। যেহেতু হারিসসায় ঝালের মাত্রা বেশী, তাই রান্নায় খুব সামান্য পরিমাণে দেবেন। বেশী ঝাল খেতে চাইলে পরিমাণ বাড়াতে পারেন। সাথে খানিকটা লেবুর রস যোগ করতে পারেন। এতে চাট মসলার মতোই স্পাইসি আর ট্যাঙ্গি লাগবে খেতে। 

৯. ড্রাইড ম্যাঙ্গো পাউডারঃ

চাট মসলার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হচ্ছে ড্রাইড ম্যাঙ্গো পাউডার বা আমচুর। এটি চাট মসলায় টক স্বাদ এনে দেয়। চাট মসলার অন্য যেসব পরিপূরক আছে সেগুলোতে আমচুর থাকে না। ঘরে যদি চাট মসলা বা এর অন্য কোন সাবস্টিটিউট না থাকে তাহলে শুধু ড্রাইড ম্যাঙ্গো পাউডার দিয়েও কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে এর সাথে খানিকটা গোলমরিচ যোগ করতে পারলে মন্দ হবে না। কারণ শুধু আমচুরে রেসিপি টক টক লাগতে পারে খেতে, সাথে গোলমরিচ থাকলে স্পাইসি ফ্লেভারটা চলে আসবে। যদি খাবারে শুধু হালকা টক ভাব চান তাহলে ম্যাঙ্গো পাউডারই যথেষ্ট। রান্নায় আমচুর অল্প ব্যবহার করবেন, প্রয়োজন বুঝে পরিমাণ বাড়াবেন। 

১০. গরম মসলাঃ 

গরম মসলা হতে পারে চাট মসলার বিকল্প। এতে আছে এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ, জিরা, ধনিয়া, আদা, লাল লঙ্কা গুঁড়ো, এবং গোলমরিচ। চাট মসলা আর গরম মসলার উপাদানে কিছুটা মিল আছে। যদি চাট মসলার পরিবর্তে গরম মসলা ব্যবহার করেন তাহলে সাথে প্রয়োজনমতো নুন মিশিয়ে দেবেন। তবে চাট মসলার পরিপূরক হিসেবে গরম মসলা তখনই ব্যবহার করবেন যখন আপনি কোন একটি ডিশ রান্না করছেন। রান্নার মাঝে প্রথমে অল্প পরিমাণে গরম মসলা দিয়ে টেস্ট করবেন। কম মনে হলে আরেকটু দেবেন। একবারে অনেকটা দেয়া যাবে না, যতক্ষণ না টেস্ট ঠিকঠাকমতো হচ্ছে ততক্ষণ একটু একটু করে গরম মসলা দেবেন। রান্না শেষ হয়ে যাওয়ার পরে গরম মসলা দিয়ে সিজন করলে কিন্তু কোন লাভ হবে না।

Visual Stories

Article Tags:
·
Article Categories:
Food-kitchen-insights

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

মুখরোচক ফ্রাইড রাইসের ৯ টি রেসিপি বাঙালীর ঐতিহ্যবাহী সকালের জলখাবার বাঙালির ১০ টি আচার যা জিভে জল আনে নিমেষে! মধ্যপ্রাচ্যে খুবই বিখ্যাত এই ৯ টি বাঙালির খাবার অযোধ্যার বিখ্যাত ঐতিহ্যবাহী ১০ টি খাবার!