গরম গরম কচুরি বা পুরি দিয়ে মিষ্টির দোকানের ছোলার ডাল দিয়ে আলুর নিরামিষ তরকারি খায়নি এমন লোক হাতে গুনে পাওয়া যাবে। অপূর্ব স্বাদের এই নিরামিষ তরকারি খাওয়ার লোভে আমি ছোটবেলায় মিষ্টির দোকানের থেকে কচুরি খেতে খুব বায়না করতাম। আজকাল যেমন সব বাইরের জিনিস মায়েরা হবহু ঘরে বানান। আগে সেরকমটা ছিল না। মায়েদের হাতের রান্না আলাদা সে নিয়ে আজকের বিষয় নয়। বিষয় হচ্ছে হবহু মিষ্টির দোকানের মত ছোলার ডাল দিয়ে আলুর নিরামিষ তরকারির রেসিপি। শুনেই জিভে জল আসছে! তাহলে অপেক্ষা না করে চলুন দেখে নেওয়া যাক এটা বানানোর পদ্ধতি। যা খুবই সহজ ও কম সময় সাপেক্ষ।
উপকরণঃ
- বড় সাইজের আলু ২ টো
- ছোলার ডাল ১ কাপ
- গোটা জিরে ১ চামচ
- শুকনো লঙ্কা ১ টা
- তেজপাতা ২ টো
- হিং এক চিমটে
- হলুদ ১ চামচ
- লঙ্কার গুঁড়ো ১/২ চামচ
- জিরের গুঁড়ো ১/৩ চামচ
- ধনে গুঁড়ো ১/৩ চামচ
- ভাজা মসলা ১ চামচ
- আদা কুচি ১ চামচ
- লঙ্কা বাটা ১ চামচ
- লবণ স্বাদ অনুযায়ী
- তেল ৩-৪ চামচ
- জল প্রয়োজন মত
- ঘি ১ চামচ
পদ্ধতিঃ
আমি এটা প্রেশার কুকারে বানাই। আপনারা চাইলে কড়াইয়ে বানাতে পারেন। প্রথমে আলুর খোসা খুব ভালো করে ধুয়ে নেবেন। কারণ খোসা ছাড়ানো হবে না। আলু পরিষ্কার করে ধুয়ে চৌক চৌক করে কেটে নিন। ছোলার ডাল সারারাত ভিজিয়ে রাখবেন। না হলে কম করে ২ ঘণ্টা। গ্যাসে প্রেশার কুকার বসিয়ে তাতে তেল দিয়ে গরম করুন। তেল গরম হলে এতে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, গোটা জিরে আর হিং দিয়ে হালকা ভেজে আলুর টুকরো দিন।
আলু মিনিট ৪ ভাজার পর এতে হলুদ আর সামান্য লবণ দেবেন। মিশিয়ে নেওয়ার পর এতে আদা কুচি আর লঙ্কা বাটা দিয়ে কষাবেন। তারপর লঙ্কার গুঁড়ো, জিরের গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো যোগ করবেন। মসলা কষাতে সামান্য জল দেবেন। তেল ছাড়তে শুরু করলে এতে ছোলার ডাল দেবেন। সবকিছু ভালো করে মিশিয়ে মিনিট পাঁচেক কম আঁচে রান্নার পর জল দিয়ে দেবেন। একটা থেকে দুটো সিটি অব্ধি অপেক্ষা করবেন। তারপর ঢাকনা খুলে লবণ মিশিয়ে দেবেন। জল মজিয়ে ঘন গ্রেভি করে নিয়ে এতে ভাজা মসলা দেবেন। ভাজা মসলার রেসিপি নিচে দেওয়া আছে। নামানোর আগে সামান্য ঘি ছড়িয়ে নিলেই তৈরি পারফেক্ট ছোলার ডাল আলুর নিরামিষ তরকারি। লুচি, পরোটা, পুরি, কচুরি যা মনে চায় তাই দিয়ে খাবেন।
রেসিপিঃ ভাজা মসলা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।