বর্ষাকাল চলছে, তাই লোকেরা রান্নাঘরের সমস্ত জিনিস বায়ুরোধী পাত্রে এবং গ্রীষ্মে সূর্যের আলোতে পলিথিনে রেখে দেয়, যাতে বর্ষায় আর্দ্র বাতাসের কারণে জিনিসগুলি নষ্ট না হয়। আপনি সূর্যের আলোতে শুকনো জিনিস সংরক্ষণ করতে পারেন এবং বৃষ্টি থেকে আর্দ্রতা থেকে রক্ষা করতে পারেন, তবে আপনি কীভাবে দইয়ের মতো তরল সংরক্ষণ করবেন।
বৃষ্টির দিনে এভাবে খোলা জায়গায় দই রাখা যাবে না। দই খোলা অবস্থায় রাখলে খুব দ্রুত তাতে ফাঙ্গাস বা ছাঁচ ও পোকা পড়ার আশঙ্কা থাকে। যার কারণে আপনার দই নষ্ট হয়ে যায় এবং ফেলে দিতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে, আজ আমরা আপনাকে এমন কিছু উপায় বলব যার মাধ্যমে আপনি দইকে সঠিকভাবে রাখতে পারবেন এবং আপনার দই নষ্ট হবে না বা ফেলে দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
বৃষ্টির দিনে কীভাবে দই সংরক্ষণ করবেন?
আপনি যদি দইয়ে পোকামাকড় এবং ফাঙ্গাস হওয়া আটকাতে চান তবে এটি সঠিকভাবে রাখুন। দই নাড়াতে একেবারেই অবহেলা করবেন না। বৃষ্টির দিনে প্লাস্টিকের পাত্রে ঢাকনা দিয়ে দই রাখুন। ঢাকনাযুক্ত পাত্রে দই রাখলে দই বাতাসে প্রবেশ করতে দেয় না এবং দীর্ঘ সময় তাজা থাকে।
কিভাবে দই এর গন্ধ বন্ধ করবেনঃ
বর্ষায় দই সঠিকভাবে সংরক্ষণ করার জন্য শুধুমাত্র প্লাস্টিকের পাত্রে রাখাই যথেষ্ট নয়। দইয়ে যদি বাজে গন্ধ আসতে শুরু করে, তবে তা দই তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ার লক্ষণ।
দইয়ের পাত্র দুই থেকে চার দিনের মধ্যে পরিবর্তন করুন। যাতে দই তাড়াতাড়ি নষ্ট না হয় এবং অদ্ভুত গন্ধ না হয়। দইয়ের পাত্র পরিবর্তন করলে দই থেকে দুর্গন্ধ হয় না। আপনি যদি চান, দই একটি পাত্রে রাখুন এবং তারপর বাসন ধোয়ার পর আপনি আবার দই রাখতে পারেন।
টক নাড়তে থাকুনঃ
দইকে সতেজ রাখতে প্রতি দুই থেকে চার দিন অন্তর দইয়ে আধা থেকে এক গ্লাস দুধ মিশিয়ে নতুন দই তৈরি করতে থাকুন। এর ফলে দইতে পোকামাকড় বা ছাঁচের ভয় থাকবে না। এ ছাড়া বৃষ্টির দিনে দইয়ে জল দেবেন না, জল যোগ করলে দই দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
এই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করুন এবং দইকে সতেজ রাখুন। দেখবেন আর দইয়ে পোকামাকড় ও ফাঙ্গাসের সৃষ্টি হবে না। আপনার যদি আমাদের এই লেখা সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন থাকে তবে আপনি নিবন্ধের নীচের মন্তব্য বাক্সে আমাদের বলতে পারেন। আমরা আপনাকে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাব। লেখা ভালো লাগলে শেয়ার করবেন।
Recommended For You
Visual Stories
Follow Us 🙂