কুমড়ো রসুন আর শুকনো লঙ্কা দিয়ে ভাজা খেতে আমার মত অনেকেরই পছন্দ হয়তো। তরকারিতে তেমন একটা কুমড়ো খেতে ভালো লাগে না অনেকেরই। আমি ছোটবেলা থেকেই খাওয়া নিয়ে খুবই ঝামেলা দিতাম মাকে। বিশেষ করে সবজি শাক এসব না খাওয়ার বায়না। কিন্তু কুমড়ো ভাজা ছাড়া স্কুলের টিফিনে রুটি বা পরোটা দিয়ে নিরামিষ এই কুমড়োর তরকারি থাকলে বক্স খালি করে আনতাম। বাজার থেকে ঘরে কুমড়ো এলে হয়তো ভাজা নয়তো এটা বানানোর দাবি জানাতাম আমরা দুই ভাইবোনে।
আজ অনেকদিন পর এই রেসিপির কথা মনে আসতে বানিয়ে ফেললাম। আর আমার কিছু রান্না বানানো মানেই আমরা প্রিয় পেটুকগণের সাথে শেয়ার করে নেওয়া। তোমরাও কুমড়োর ছক্কা বা ভাজার বদলে একদিন নিরামিষ এই কুমড়োর তরকারি বানিয়ে ট্রাই কর। খেতে কেমন লাগলো জানিও কিন্তু আমায়।
উপকরণঃ
- কুমড়ো ৫০০ গ্রাম
- আলু মাঝারি সাইজের ২ টো
- টমেটো একটা
- কড়াইশুঁটি ১ বাটি
- আদা বাটা ১ চামচ
- কাঁচা লঙ্কা ২-৩ টে
- ধনেপাতা কুচি এক মুঠো
- চিনেবাদাম এক মুঠো
- তেজপাতা ২ টো
- শুকনো লঙ্কা ২ টো
- ছোট ১/২ চামচ পাঁচ ফোঁড়ন
- হিং এক চিমটে
- হলুদ এক চামচ
- লঙ্কার গুঁড়ো ছোট ১ চামচ
- কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো ১/২ চামচ
- ধনে গুঁড়ো ১ চামচ
- জিরে গুঁড়ো ১/২ চামচ
- আমচুর পাউডার ১ চামচ
- ঘি এক চামচ
- জল ১/২ কাপ
- তেল ৪ চা চামচ
পদ্ধতিঃ
কুমড়ো ও আলু প্রথমে ডুমো ডুমো করে কেটে নিও। কুমড়ো যে সাইজে কাটবে তার চেয়ে একটু ছোট সাইজে আলু কেটে নেবে। তারপর কড়াইয়ে এক চামচ তেল প্রথমে দিয়ে চিনে বাদাম ভেজে তুলে রাখবে। এবার ওই তেলেই আলু কুমড়ো দিয়ে ভাজবে। সামান্য হলুদ দেবে। লবণ এখন দেবে না। একটু লালচে করে ভাজা হলে তুলে রাখো। তারপর ওই কড়াইয়ে বাকি ৩ চামচ মত তেল দিয়ে তাতে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, হিং আর পাঁচ ফোঁড়ন দিয়ে এক মিনিট ভেজে টমেটো কুচি ও আদা বাটা দিও। টমেটো গলে গেলে কড়াইশুঁটি ও সব গুঁড়ো মসলা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নেবে।
মসলা কষে যাওয়ার পর এতে জল দিয়ে দেবে। তিন মিনিট পর ভাজা কুমড়ো আলু যোগ করবে। মসলার সাথে মিশিয়ে নিয়ে তারপর এতে ভাজা বাদাম, ধনেপাতা কুচি, কাঁচা লঙ্কা দিয়ে ঢেকে কম আঁচে মিনিট সাতেক রান্না করবে। সেদ্ধ হয়ে গেলে ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিও। গরম গরম রুটি বা পরোটা দিয়ে চমৎকার লাগে নিরামিষ কুমড়োর এই তরকারি। কুমড়োর ছক্কার থেকেও অনেক বেশি টেস্টি এই তরকারি হলফ করে বলতে পারি।