আজকাল মাঝে মধ্যেই আচমকা মনে পড়ে ছোটবেলায় খাওয়া অনেক রকম খাবারের কথা। সচারচর যেগুলোর এখন আর খুব একটা দেখা মেলে না। এমনই একটি মিষ্টি খাবার ছিল লুচির পায়েস। গরমের ছুটিতে মামা বাড়ি গেলে দিম্মা আগে ভাগেই বানিয়ে রেখে দিতেন আমাদের জন্য। ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে হয় এটি। তখনও আর ফ্রিজ ছিল না। এই রেসিপিটি আমার প্রিয় দিদার রান্নাঘর থেকে এসেছে এবং আমি নিশ্চিত যে আমার অনেক বাঙালি বন্ধু এই পুরনো খাবারটির সাথে পরিচিত হবেন। বাড়িতে কম উপাদান থাকাকালীন এটি আমার পার্টি ডেজার্ট রেসিপি আজকাল। এটি একবার তৈরি করুন এবং আমি গ্যারান্টি নিয়ে বলতে পারি যে আপনি সারাজীবনের জন্য এই পুরনো বাঙালি মিষ্টির প্রেমে পড়ে যাবেন।
উপকরণঃ
- দুধ ১ লিটার ঘন (ফ্যাট মিল্ক)
- কনডেন্সড মিল্ক ১/৩ কাপ
- লুচি ৮-৯ টা
- চিনি ৩-৪ চামচ
- কাজুবাদাম এক মুঠো
- কিশমিশ এক মুঠো
- ঘি বা মাখন আধা চা চামচ
- সবুজ এলাচ ২-৩টি গুঁড়ো করা
একটি ভারী প্যানে দুধ ঢালুন এবং এটি ফুটতে শুরু করলে মাঝে মাঝেই নাড়তে থাকুন। ১২-১৫ মিনিটের মধ্যে দুধ ঘন হয়ে যাবে মাঝারি আঁচে। দুধ ঘন হওয়ার সময় লুচিগুলোকে ৪ টি টুকরো করে ভাগ করে নিন। চাইলে গোটাও রাখতে পারেন। এলাচ পিষে মিহি গুঁড়ো করে আলাদা করে রাখুন। আরেকটি ছোট প্যানে ঘি দিয়ে গরম করে কাজুবাদাম ও কিশমিশ সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। ভাজা হয়ে গেলে একপাশে তুলে রাখুন।
দুধ একটু ঘন হয়ে এলে কনডেন্স মিল্ক দিন। নাড়ুন এবং স্বাদ চেক করুন এবং তারপর আপনার পছন্দ অনুযায়ী চিনি যোগ করুন। ভাজা কাজুবাদাম ও কিশমিশ মেশান এবং আরও ৩-৪ মিনিট রান্না করুন। জ্বাল বন্ধ করুন এবং সঙ্গে সঙ্গে লুচি যোগ করুন এবং সাবধানে মেশান। এলাচ গুঁড়ো ছিটিয়ে আংশিকভাবে ৫ মিনিটের জন্য থালা ঢেকে দিন। তারপর আবার মেশান ও ঠান্ডা হতে দিন। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে বা ঘরের তাপমাত্রায় পরিবেশন করুন লুচির পায়েস। অনেক সময় লুচি বানালে কয়েকটা লুচি অবশিষ্ট থেকে যায়। প্রথমবার চাইলে সেগুলো দিয়ে বানিয়ে ট্রাই করে দেখতে পারেন। অপূর্ব লাগবে খেতে।