রাবড়ি কুলফি ওরফে মটকা কুলফি প্রতিটি বাচ্চার জন্য শৈশব ক্রাশ। আমার মনে আছে আমি যখন ছোট ছিলাম তখন ‘টান টান টান টান’ ঘণ্টা বাজার আওয়াজ পেলেই খুশি হয়ে যেতাম। এই মালাই কুলফির জন্য কুলফি ওয়ালার গাড়ির আওয়াজ শুনেই ছুট দিতাম সেদিকে। আহা এর স্বাদ এখনও ভুলতে পারি না। স্বাদে ভরপুর। ঘন দুধে সামান্য এলাচ, কেশরের গন্ধ আর মুখে দিলেই মাখনের মত গলে যাওয়া । রাবড়ি থেকে তৈরি সুস্বাদু রাবড়ি কুলফি গ্রীষ্মের মৌসুমে খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে আজকাল সেই কুলফির গাড়ির আওয়াজ পাইনা। নিজেই বানিয়ে থাকি ঘরে এখন তাই কুলফি। সেই রেসিপি আমি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। ঘরে বানিয়ে নিন রাবড়ি কুলফি যখন খুশি। সত্যি বলতে এই কুলফি বানিয়ে খাওয়ারও মজা আলাদা। ট্রাই করে দেখুন।
উপকরণঃ
- ঘন ফুল ফ্যাট দুধ এক লিটার
- দুধের গুঁড়ো ১ কাপ
- পেস্তা কুচি ৪ টেবিল চামচ
- বাদাম কুচি ৪ টেবিল চামচ
- কাজু বাদাম কুচি ৪ টেবিল চামচ
- কালো লবণ এক চিমটি
- এলাচ গুঁড়ো ১ চা চামচ
- চিনি স্বাদ মতো
- জাফরান বা কেশর ১ চিমটি
- দুধ ৪ টেবিল চামচ
পদ্ধতিঃ
সবার প্রথমে ৪ টেবিল চামচ দুধে এক চিমটি জাফরান যোগ করুন। একপাশে রাখুন। একটি পুরু প্যানে ১ লি. ঘন বা ডবল ক্রিম দুধ গরম করতে শুরু করুন। ফুটতে শুরু করলে আঁচ কমিয়ে মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন। প্যানের পাশে ক্রিম বা মালাই আটকে দিন। দুধ ঘন হয়ে গেলে এতে মিল্ক পাউডার দিন। ভালো করে মিশিয়ে নিন। দুধে গুঁড়ো গুঁড়ো ভাব যেন না থাকে তাই খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এলাচ গুঁড়ো, কাটা কাজু, কাটা পেস্তা, কাটা বাদাম এবং জাফরান দুধ যোগ করুন। ভালোভাবে মেশান তারপর চিনি যোগ করুন।
যখন এটি একদম ঘন হয়ে আসবে, ১/৪ বা ২৫০ মিলি পরিমাণে হয়ে যাবে তখন গ্যাস বন্ধ করুন। এতে প্যানের পাশ থেকে সব মালাই মিশিয়ে নিন। ঠান্ডা হতে দিন। এক চিমটি কালো লবণ যোগ করুন। ভালভাবে মেশান। কুলফির ছাঁচে ঢেলে দিন। ৫-৬ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিন। সেট হয়ে গেলে ফ্রিজ থেকে বের করে রাখুন। কুলফি ডি- মোল্ড করুন। আপনার পছন্দের বাদাম বা কাটা বাদাম, পিস্তা এবং জাফরান দিয়ে সাজান। ঠান্ডা পরিবেশন কর।