সিঙ্গারা মুড়ি দিয়ে বিকেলের জলখাবার সপ্তাহে একবার দুবার খাওয়া হয়ে যায়। আর স্যান্ডউইচ হল একটি প্রাতঃরাশের আইটেম যা সবাই জানে কিভাবে তৈরি করতে হয়। সাধারণত বাড়িতে, স্যান্ডউইচ ব্রেকফাস্ট প্রতি দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিনে খাওয়া হয়। শিশু হোক বা বৃদ্ধ, সবাই স্যান্ডউইচ খেতে পছন্দ করে। কেউ আলু স্যান্ডউইচ খেতে পছন্দ করেন আবার কেউ পনির স্যান্ডউইচ আবার কেউ পছন্দ করেন চিকেন বা এগ স্যান্ডউইচ। কিন্তু মাঝে মাঝে একই খাবার খেতে খেতে বিরক্তি ভাব আসেই।
আমি কয়েকদিন আগে সিঙ্গারা আর স্যান্ডউইচ দুটো কম্বাইন্ড করে সিঙ্গারা স্যান্ডউইচ বানিয়েছিলাম। অপূর্ব হয়েছিল খেতে। সিঙ্গারা আনলে দুটো এক্সটা সিঙ্গারা আনবেন নেক্সট টাইম। আর খুব সহজে এটা বানিয়ে নিতে পারবেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক কি কি লাগবে আর কিভাবে বানাতে হবে।
ঘরেই তৈরি করতে পারেন মসলাদার সিঙ্গারা বা সামোসা স্যান্ডউইচ। এটি তৈরি করা খুব সহজ। আজ আমরা আপনাদের ঘরেই সামোসা স্যান্ডউইচ বানানোর একটি সহজ পদ্ধতি জানাব।
উপকরণঃ
- পাউরুটি স্লাইস ৪ টি
- সিঙ্গারা ২ টো
- ধনেপাতা চাটনি ৪ টেবিল চামচ
- মাখন ৪ টেবিল চামচ
- সূক্ষ্মভাবে কাটা ক্যাপসিকাম ১ টেবিল চামচ
- টমেটো কেচাপ ১ টেবিল চামচ
- পেঁয়াজ গোলাকার করে কাটা ৪ টি
- চাট মসলা ১ চা চামচ
পদ্ধতিঃ
সিঙ্গারা স্যান্ডউইচ বানাতে আপনি হয় ঘরে তৈরি সিঙ্গারা নিতে পারেন অথবা বাজার থেকে কিনে নিতে পারেন। আমি সিঙ্গারা বাইরে থেকে কিনে এনেছিলাম। স্যান্ডউইচ বানানোর আগে সিঙ্গারা একটু টোস্ট করে নিন। এবার পাউরুটির একটি স্লাইস নিয়ে প্রথমে মাখন গলিয়ে তাতে লাগিয়ে নিন, তারপর সবুজ চাটনি এবং তারপর টমেটো কেচাপ।
এরপর চেপে চেপে ভেঙ্গে ফেলুন সিঙ্গারাগুলো। এটি পাউরুটির উপর রাখুন এবং নিশ্চিত করুন যে সিঙ্গারাটি পুরো পাউরুটিতে ভালোভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এবার এতে পেঁয়াজ কুচি দিন, কাটা ক্যাপসিকাম ও চাট মসলা দিন। এটি করার পর দ্বিতীয় রুটি দিয়ে ঢেকে দিন। এবার স্যান্ডউইচ মেকারে রাখুন এবং ভালো করে টোস্ট করতে দিন। চাইলে চাটুতে এটা দিয়েও এটা সেঁকে নিতে পারেন। স্যান্ডউইচটি সঠিকভাবে টোস্ট হতে ১০ মিনিট সময় লাগবে। এরপর টমেটো কেচাপের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।
