মুইঠ্যা শব্দটি শুনলে শুধু একটা কথা মাথায় আসে। সেটা হল চিতল মাছের মুইঠ্যা। কিন্তু চিতল মাছের যা দাম তাতে হাতের মুঠো বন্ধ রাখতে হয়। মুঠো খুললেই পকেট খালি হবার চান্স বেশি। তাছাড়া সবসময় চিতল মাছ পাওয়া যায় না, অনেকে নিরামিষ খান, এসব কথা মাথায় রেখে আজ হাজির করলাম সয়াবিনের মুইঠ্যা। না স্বাদে চিতল মাছের ফিল পাবেন না। ফালতু মিথ্যা আশ্বাস দেবো না। তবে এই নিরামিষ সয়াবিনের মুইঠ্যা মাছের মুইঠ্যা থেকে কোন অংশে কম নয় খেতে। দারুন স্বাদের সম্পূর্ণ নিরামিষ এই সয়াবিনের মুইঠ্যা একবার বানিয়ে খেলে বারবার খেতে মন চাইবে সে গ্যারান্টি আমি নিলুম। সামান্য উপকরণের আয়োজনে এটি যেকোনো সময় চাইলে বানিয়ে নিতে পারেন।
উপকরণঃ
- সয়াবিন ১০০ গ্রাম
- আলু বড় একটা
- বেসন ২ টেবিল চামচ
- আদা ও কাঁচা লঙ্কা বাটা ১ চা চামচ
- জিরা গুঁড়ো ১ চামচ
- ধনে গুঁড়ো ১ চামচ
- হলুদ ১ চামচ
- কাশ্মীরি লাল লঙ্কা গুঁড়ো ১ চামচ
- লবণ স্বাদ অনুযায়ী
- চিনি ১/২ চা চামচ
- তেজপাতা ১ টা
- এলাচ দারুচিনি সামান্য
- গোটা জিরা ১ চামচ
- হিং ১ চিমটি
- টমেটো ২ টো
- তেল ৫ চা চামচ
- ঘি ১/২ চামচ
পদ্ধতিঃ
সয়াবিন ১০০ গ্রাম জলে সেদ্ধ করে নেবেন। সেদ্ধ হলে ঠাণ্ডা জলে সেগুলো ধুয়ে ভালো করে চিপে মিক্সি জারে দেবেন। মিহি করে পেস্ট করে নেবেন। এবার এর সাথে আদা ও কাঁচা লঙ্কা বাটা, হলুদ, জিরে, ধনে, লঙ্কার গুঁড়ো ১/২ চামচ করে দেবেন। স্বাদ মত লবণ যোগ করে এতে বেসন দেবেন। ভালো করে মেখে মুইঠ্যার আকারে গড়িয়ে তেলে ভেজে তুলে রাখবেন।
ওই তেলেই লম্বা লম্বা করে আলু হলুদ ও লবণ মেখে ভাজে তুলে নেবেন। এবার এতে তেজপাতা ১ টা, এলাচ দারুচিনি সামান্য, গোটা জিরা ১ চামচ, হিং ১ চিমটি দেবেন। তারপর টমেটো কেটে দিন। টমেটো নরম হয়ে এলে সব মসলা ১/২ চামচ করে দিয়ে সামান্য জল যোগ করবেন। মসলা কষে তেল ছাড়লে ভাজা আলু দেবেন। তারপর গরম জল ২ কাপ যোগ করে ঢেকে রান্না করবেন। আলু সেদ্দ হলে এতে ভেজে রাখা মুইঠ্যা দিয়ে জল মজিয়ে শেষে ঘি মিশিয়ে নামিয়ে নেবেন। তৈরি হয়ে যাবে অসম্ভব ভালো স্বাদের নিরামিষ সয়াবিনের মুইঠ্যা।