বিশ্বকর্মা পূজা আজ। এই দিনে লোকেরা তাদের সরঞ্জাম,এবং যন্ত্রপাতির পূজা করে। তারা সাফল্য ও সমৃদ্ধির জন্যও প্রার্থনা করেন। প্রসাদের পাশাপাশি থাকে নানা রকমের খাবার দাবার। আসলে বাঙালীর বারো মাসে তেরো পার্বণ খাওয়া দাওয়া ছাড়া অসম্পূর্ণ। ছোটবেলায় বিশ্বকর্মা পুজা এলে দাদা খুশি হত ঘুড়ি ওড়ানোর আনন্দে। আমি খুশি হতাম মায়ের সাথে রান্না পুজোর নেমন্তন্ন খেতে যাওয়ার জন্য।
বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন অমাবস্যার থাকে। একটি বড় লৌকিক উৎসব গৃহস্থের ঘরে। কারণ ঐতিহ্য মেনে,রান্না পুজোর দিন। গৃহদেবতার পুজো ও উনুনের পুজো হয় এই দিন। রান্না পুজোর দিন রাতে গৃহদেবতাকে ভক্তি ভরে পুজা করে রান্না বসানোর রীতি। আজও গ্রাম বাংলায় এটি প্রচলিত। সারা রাত জেগে রান্না হয়। ভোরের আলো ফোটার আগে রান্না শেষ করতে হবে। সমস্ত রাত জেগে ঘরের মেয়ে বউরা কুটনো, বাটনা, রান্না করেন। তারপর তা গৃহদেবতাকে ভোগ দেন। রাতের বাসি রান্না পরের দিনের সারা দিনের খাবার। যা চমৎকার সব পদ থাকে, যে খেয়েছে সেই জানে। রান্না পুজোর পরের দিনকে পান্না বলে ডাকা হয়।
বিশ্বকর্মা পুজোর খাওয়া দাওয়াঃ
সাধারণত বিশ্বকর্মা পুজো যারা শুধু করেন তাদের খাওয়া দাওয়ার পদ আলাদা। আর রান্না পুজোর পদ আলাদা। আগে বিশ্বকর্মা পুজার খাওয়ার পদ বলি।
- খিচুড়ি
- আলুর দম
- লুচি
- পায়েস
- মিষ্টি
- ফল প্রসাদ
- বোঁদে
রান্না পুজোর খাওয়া দাওয়াঃ
- পান্তা ভাত
- ডালের ঝুরি
- ইলিশের মাথা দিয়ে পুঁইশাক
- ইলিশ মাছ ভাজা
- আলু ভাজা
- পটল ভাজা
- শাক ভাজা
- কাঁচকলা ভাজা
- বেগুন ভাজা
- ঢ্যাঁড়শ ভাজা
- চাটনি
- পাঁপড়
- পায়েস
- মিষ্টি
এই সব রান্না সারা রাত ধরে বানানো হয়। খুব মিস করি আজকাল রান্না পুজোর নেমন্তন্ন। আপনাদের কার কার বাড়িতে রান্না পুজো হয়, হলে কি কি বানান কমেন্ট করে জানাবেন। খাওয়া হবে না কিন্তু শুনে খুশি হব।
Recommended For You
Visual Stories
Follow Us 🙂