কচু শাক, কচু, লতি খেতে সকলেই ভালোবাসেন। কিন্তু বাজার থেকে আনার পর সবচেয়ে সমস্যার মুখে পড়তে হয় তাকে যিনি এগুলো রান্না করবেন। কারণ কচু বা লতি কাটার সময় হাত চুলকাবে না বা কুটকুট করবে না এমনটা হয় না। তবে চিন্তা নেই। এবার থেকে বাড়িতে কচু এলে না ঘাবড়ে বরং আজকের টিপস ট্রাই করবেন। কচু বা লতি কাটার সময় এইভাবে তা কাটলে হাত চুলকোবে না একটুও।
কচু বা লতি কাটার সময় কি কি করলে হাত চুলকোবে নাঃ
কচুর লতি কাটার সময় সামান্য কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখবেন ও কয়েকটি জিনিস করবেন। তাহলেই কাটার সময় একটুও হাত কুটকুট করবে না।
১. কচু জলে ভিজিয়ে রাখবেন নাঃ
লতি হোক বা কচুর শাক কিংবা কচু কাটার আগে কখনই জলে ভিজিয়ে রাখবেন না। জলে ভিজিয়ে রাখলে তা কাটার সময় বেশি চুলকায়। তাই চেষ্টা করবেন কাটার পরে তা ধুয়ে নিয়ে জল ঝরিয়ে রান্না করার। যদি কেউ ভুল করে জলে ভিজিয়ে দেন তাহলে তাতে সামান্য পরিমান লবণ মিশিয়ে দেবেন। লবণে থাকা ক্ষারের ফলে এটি কাটার সময় হাত চুলকাবে না।
২. রোদে শুকিয়ে নিনঃ
কচু জলাশয়ে হওয়ার ফলে অনেক সময় কিনে আনলে খেয়াল করে দেখবেন কেমন ভেজা ভেজা থাকে। এই অবস্থায় একদম এটা কাটবেন না। কয়েক ঘণ্টা রোদে শুকিয়ে নেবেন। তাহলে ভেজা ভাবটা চলে যাবে। বাকি কাটার আগে জলে না ভিজিয়ে কেটে নিয়ে ধোবেন।
৩. সরষের তেল হাতে লাগিয়ে নেবেনঃ
কচুর শাক বা লতি কাটার আগে ভালো করে দুই হাতে সরষের তেল মেখে নেবেন। কচুর থেকে যে কষ বা আঠা বেরোয় তা হাতে লেগে থাকার ফলেই চুলকায়। সরষের তেল হাতে লাগা থাকলে তা থেকে চুলকানি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় থাকেই না। তাই এই টিপটি ব্যবহার করতে পারেন।
৪. স্কচবাইট ব্যবহার করুন কাটার সময়ঃ
শুনে অবাক হলেও এটা দারুণ কাজের একটা কৌশল। কচুর শাক বা কচুর লতি কাটার সময় আগে এর আঁশ ছাড়িয়ে নিতে হয়। আর এইসময় থেকেই হাত কুটকুট করা শুরু করে। ছুরি বা বটিতে আঁশ ছাড়ালে তা হাতে লাগতে বাধ্য। তাই এবার থেকে আঁশ ছাড়ানোর সময় স্কচবাইট ব্যবহার করুন। এতে হাতে আঁশ লাগে না আর দ্রুত কাজটা সম্পূর্ণ হয়ে যায়। এক হাতে লতি ধরুন। যে হাতে লতি ধরছেন সেই হাতে একটা কাপড় জড়িয়ে নিন। আর অন্য হাতে একটা পরিষ্কার নতুন স্কচবাইট নিয়ে লতির মাথা থেকে নিচ পর্যন্ত ঘষতে থাকুন। দেখবেন সঙ্গে সঙ্গে আঁশ উঠে আসছে। হাতেও লাগছে না আর চুলকানোর ভয়ও থাকছে না।
যদি হাত চুলকায় তখন কি কি করবেনঃ
- কাটার সময় যদি আপনার হাত চুলকাতে শুরু করে তাহলে তা থেকে মুক্তি পেতে সাথে সাথে নারকেল তেল লাগান। কিছুক্ষণ নারকেল তেল দিয়ে হাত মালিশ করলে তাৎক্ষণিক চুলকানি থেকে মুক্তি মিলবে।
- লেবু ভিটামিন সি এর একটি ভালো উৎস এবং এটি ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। কচুর শাক বা লতি কাটার ফলে সৃষ্ট চুলকানি থেকে তাত্ক্ষণিক উপশম পেতে, একটি লেবু কেটে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে ঘষুন বা লেবুর রস দিয়ে আপনার হাত ম্যাসাজ করুন। এটি করলে তাৎক্ষণিক চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- সঙ্গে সঙ্গে চুলকানি কমাতে অ্যালোভেরা জেল দিয়ে হাতে ম্যাসাজ করুন এবং কিছুক্ষণ হাতে লাগিয়ে রাখুন।
- হাত চুলকাতে থাকলে কয়েকটি তুলসী পাতা নিয়ে হাতে ঘষে এর রস লাগান। এটি করলে হাতের চুলকানি থেকে সাথে সাথে বন্ধ হয়ে যাবে।
- চাইলে সামান্য নুন হাতে নিয়ে ভালো করে মালিশ করতে পারেন। এতেও চুলকানো বন্ধ হয়ে যায়। বেশি চুলকালে জলে লবণ দিয়ে তাতে হাত ডুবিয়ে বসে থাকতে পারেন। এতেও দারুণ কাজ হয়।