সয়া সস নামটা শুনলেই আমাদের মনে আসে চাইনিজ খাবারের কথা তাই না? কিন্তু আজ আপনাদের এই সয়া সসের এমন কিছু ব্যবহার জানাবো যা শুধু চাইনিজ খাবারে নয় বরং আপনার নিত্যদিনের রান্নায় এর ব্যবহার করতে পারবেন। চলুন তবে জেনেনি বিভিন্ন রান্নায় কিভাবে সয়া সসের ব্যবহার করা যায়।
নুনের পরিবর্তেঃ
- সয়া সস যে শুধু চাইনিজ খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এমনটা নয়। কারন চাইনিজ খাবার ছাড়াও আপনি চাইলে অনেক কাজে এই সস ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন নুনের পরিবর্তে ব্যবহার করা যায়।
- আমরা সকলেই জানি কাঁচা নুন আমাদের শরীরে অনেক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে যারা হাই ব্লাড প্রেসারের রোগী তাদের জন্য তো এটা বিষ স্বরূপ। কিন্তু নুন ছাড়া খাবারে কোন স্বাদ পাওয়া যায় না।
- সেক্ষেত্রে তারা নুনের বদলে এই সয়া সস দিয়ে তরকারি রান্না করতে পারেন। কারন সয়া সসের মধ্যে এমনিতেই নুন থাকে। তাই আলাদা করে আর নুন যোগ করার প্রয়োজন হয় না। খাবারে এমনিতেই নুনের ব্যালেন্স হয়ে যায়।
স্বাদ বাড়াতেঃ
- মুরগীর মাংস হোক বা কোন মাছের আইটেম অথবা ভেজিটেবল, এগুলোর সাথে সয়া সস খুব ভালো যায়। মুরগীর মাংস বা মাছ সয়া সস দিয়ে মেরিনেট করে কিছু সময় রেখে দিয়ে তারপর রান্না করলে সেই তরকারি বেশি স্বাদ যুক্ত হয়।
ফ্লেবার যুক্ত করেঃ
- রান্নায় বিশেষ স্বাদ আনতে আমরা কত কিছুই না ব্যবহার করি। কিন্তু রেস্তোরার শেফদের মতো সেই রান্নার স্বাদ ঘরের রান্নায় পাওয়া যায় না। বিশেষ করে মাংসের আইটেমগুলোতে। তবে আপনি চাইলে ঘরের রান্নায় আনতে পারেন রেস্টুরেটের স্বাদ। ভয় পাবেন না বেশি কিছু করতে হবে না।
- বাজার থেকে কিনে আনুন ভালো মানের সয়া সস। এরপর থেকে যখনই মাংসের আইটেম রান্না করবেন তার মধ্যে এক চামচ পরিমান সয়া সস এ্যাড করে দিন। প্রফেশনাল শেফদের মতো খাবারে ব্যালেন্সড টেস্ট আনতে সয়া ব্যবহার করতে পারেন। শেফদের রান্নার সিক্রেট ইনগ্রিডিয়েন্টের মধ্যে সয়া সস অন্যতম।
সালাদ তৈরিতেঃ
- যেকোন ভেজিটেবল সালাদে স্বাদ বাড়াতে সয়া সস ব্যবহার করতে পারেন। সালাদে ব্যবহৃত ভেজিটেবলগুলো খুব বেশি তরলে পরিপূর্ণ থাকে সয়া সস সেগুলোর সাথে মিশে অসাধারণ স্বাদ আনে। তবে খুব বেশি পরিমানে দিতে যাবেন না, অল্প পরিমাণে দিতে হবে। কারণ সয়া সস কিছুটা লবণাক্ত, তাই পরিমাণে বেশি দিলে সালাদ তেতো হয়ে যাবে।
মাংস দ্রুত সেদ্ধ করতেঃ
- সয়া সস মাংস ম্যারিনেট করতে ব্যবহার করুন। মাংসের টুকরোগুলো রান্নার আগে মসলার সাথে এক চামচ পরিমান সয়া সস দিয়ে ম্যারিনেট করে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেস্টে রেখে দিন। তারপর রান্না করুন। দেখবেন মাংস অল্প সময়ে পারফেক্ট ভাবে সেদ্ধ হয়ে গিয়েছে। পরবর্তী ধাপে নুনের পরিমান যাচাই করতে ভুলবেন না। কারন সয়া সস ব্যবহার করলে মাংসে কিছু লবণাক্ততা যুক্ত হবে। রান্নাকে সুস্বাদু করতে একটু সতর্ক তো থাকতেই হয়।
নুডুলসের সাথেঃ
- নুডুলস সকলের একটি পছন্দের খাবার। আপনি চাইলে নুডুলস রান্নায় কিছুটা ভিন্নতা আনতে পারেন। রান্নার সময় এতে সামান্য পরিমান সয়া সস এ্যাড করে দিন। দেখবেন নুডুলসে এক ভিন্ন স্বাদ পাবেন।
মাছের গন্ধ দূর করতেঃ
- যারা মাছের গন্ধ একেবারে সহ্য করতে পারেন না তাদের জন্য সয়া সসের ব্যবহার দারুণ কার্যকর। বিশেষ করে বাচ্চারা, তারা মাছটা খুব একটা খেতে চায় না বা পছন্দ করে না। সেক্ষেত্রে আপনি একটি কৌশল গ্রহন করতে পারেন। মাছগুলো সয়া সস দিয়ে ম্যারিনেট করে গ্রিল বা ফিশ কাটলেট বানিয়ে দিতে পারেন। দেখবেন তারা খুব খুশি মনে খেয়ে নিচ্ছে।
- কারন এটি রান্নার স্বাদও যেমন বাড়াবে সেই সাথে মাছের আশঁটে গন্ধ দূর করবে কোন ঝামেলা ছাড়াই।
বিশেষ সর্তকতাঃ
- রান্নায় সয়া সস ব্যবহার করার সময় নুনের পরিমান বুঝে দিতে হবে। কারন সয়া সসে এমনিতেই নুন থাকে তাই আলাদা করে নুন যোগ করার সময় নুনের পরিমান কিছুটা কম দিতে হবে। নয়তো রান্নায় নুনের মাত্রা বেশি হয়ে যাবে।
আপনার এই পরামর্শ খব ভালো লেগেছে।
জেনে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
আলোচনাটি সুন্দর।
ধন্যবাদ।